এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দৈনন্দিন জীবনে মানুষের জীবনযাপনের বহু পরিবর্তন এসেছে এর ফলে রাত্রিবেলাতেও স্বস্তি পাচ্ছেন না অনেকেই। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা কঠিন পরিশ্রমের পরেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে রাত্রিবেলায় কাজ করে চলেছেন। আবার কিছু মানুষ রয়েছেন যারা স্মার্টফোন নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত কাটাচ্ছেন।
সব মিলিয়ে মানুষের মধ্যে দেরি করে ঘুমানোর একটা প্রবণতা এসে গেছে। আর এই অভ্যাস এক-দু’দিন করার ফলে পরবর্তী কালের জন্য অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। যার ফলে অনেকেই নিদ্রাহীনতা রোগ সহ নানান ব্যাধিতে ভুগছেন।
এখন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শুধু খেয়াল করতে হবে কয়েকটি নিষেধাজ্ঞার উপর যেগুলো ভুলেও করতে যাবেন না ঘুমানোর আগে। চলুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক-
১) রাত্রিবেলায় একেবারেই তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয় এর ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে যা ঘুমের মধ্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এছাড়াও পরের দিন হজমের সমস্যা দেখা দিতে।
২) বিছানায় শোয়ার আগে ফ্লেভার যুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করা একেবারেই উচিত নয় এর ফলে দাঁতের শিরশিরানি ভাব থেকে যায়। যা ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে তাই সাধারন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
৩) ঘুমানোর আগে বই পড়ার অভ্যাস খুবই ভালো তবে রোমাঞ্চকর গল্প বা বিরত থাকাই ভালো যা ঘুমানোর আগে চিন্তামগ্ন করে তোলে।
৪) এই সময় একেবারে চা বা কফি খাওয়া উচিত নয় কারণ এই ধরনের পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে যা ঘুমের মধ্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এছাড়াও এটি অনিদ্রার কারণ।
৫) ঘুমানোর আগে কখনোই ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করা উচিত না, কারণ এটি ঠান্ডা লাগার অন্যতম কারণ হতে পারে তাই হালকা গরম কুসুম জলে স্নান করতে পারেন।
৬) ঘুমানোর আগে কখনোই ধূমপান করতে যাবেন না কারণ বিড়ি বা সিগারেটে যে নিকোটিন থাকে তা ঘুম আসতে বাধা দেয় এবং অনেক রাত পর্যন্ত আপনাকে জাগিয়ে রাখে।
৭) রাত্রে শোয়ার পর বিছানায় স্মার্টফোন ব্যবহার করা উচিত না। তা সত্ত্বেও ৯০% মানুষ এই ভুল করে থাকেন। আসলে স্মার্টফোন থেকে যে নীল আলো বিচ্ছুরিত হয় তার ঘুম আসার পথে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। আপনি চাইলে ডার্ক মোড কিংবা নাইট মোড করে রাখতে পারেন।
৮) ঘুমানোর আগে কখনোই মদ্যপান করা উচিত না। কারণ এটি পরিপাকতন্ত্রের কাজে ব্যাঘাত ঘটায় এবং এটি নিদ্রাহীনতার অন্যতম কারণ।