এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ১৯৫৯ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর সর্বপ্রথম চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে রুশ মহাকাশযান লুনা-২। রচিত হয় নতুন ইতিহাস। এরপরই বড় ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে মানুষ।
রাশিয়ার এমন অভিষাণের পর নড়েচড়ে বসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মূলত তারা রাশিয়ার সফলতায় ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ে। কিন্তু রাশিয়ানরা আর সেই ঈর্ষা থেকেই প্রথম সফল মহাকাশ যান তৈরি করে আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এরপরই আমেরিকানদের টেক্কা দিয়ে একের পর এক অক্ষয় কীর্তি গড়ে যাচ্ছে রুশরা!
এতে কিন্তু থেমে থাকেনি মার্কিনিরা। তারাও উঠে পড়ে লাগে। শুরু হয় স্নায়ু যুদ্ধ। কে কার আগে চাঁদে মানুষ পাঠাবে! অবশেষে রুশদের টেক্কা দিয়ে তিনজন আরোহী নিয়ে চাঁদের দিকে এগিয়ে যায় মার্কিন মহাকাশ যান অ্যাপোলো-১১। ভাগ্যবান তিন নভোচারী হলেন নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন বাজ অলড্রিন এবং মাইকেল কলিন্স।
১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই নাসার কেপ কেনেডি স্পেস সেন্টারে তিন নভোচারীকে নিয়ে চাঁদের অভিমুখে যাত্রা করেছিলো অ্যাপলো-১১। ২০ জুলাই গ্রিনিচ সময় রাত ৮টা ১৮ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রাখেন নীল আর্মস্ট্রং।
চাঁদের মাটিতে পা রেখেই আর্মস্ট্রং বলেন, ‘এটা একজন মানুষের জন্য ক্ষুদ্র একটি পদক্ষেপ, কিন্তু মানব জাতীর জন্য বিশাল অগ্রযাত্রা।’ এর ঠিক বিশ মিনিট পর নামেন অলড্রিন। মূল মহাকাশযানকে কক্ষপথে রেখে ‘ঈগল’ নামের এক খেয়াযানে করে চাঁদে নামেন দুই নভোচারী। কলিন্স চাঁদের বুকে নামেন নি। তিনি মূল স্পেসশিপে চড়ে চাঁদের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেন।
আর্মস্ট্রং আর অলড্রিন চাঁদের বুকে ওড়ান আমেরিকার পতাকা। হয়তো ভাবছেন চাঁদে বাতাস নেই। তো পতাকা উড়ল কী করে?
আসলে পতাকার দণ্ডের ওপর দিকে লম্বভাবে হাতের মতো আরেকটা চিকন দণ্ড লাগানো হয়েছিল। মূল দণ্ডের গায়ে পতাকা যেভাবে বাধা হয় সেভাবেই বাঁধা হয়েছিল। অন্য দুটির গায়ে পতাকার ওপর দিকটা সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল। তাই পতাকা চাঁদের মাটিতেও সোজাভাবে মেলে ছিল।
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন