মামুন রাফী: দাম্পত্য জীবনে ঝামেলা সবার মধ্যে কমবেশি হয়। তবে হঠাৎ করেই যদি আপনার স্বামীর আচরণ বদলে যায় বা ঘরে থাকাকালীন তিনি মেজাজ হারান, সেক্ষেত্রে স্ত্রীর সতর্ক হতে হবে।
স্বামীকে আগেই যে সন্দেহ করতে হবে তা নয়। বাইরে তিনি কোনো ঝামেলায়ও থাকতে পারে, হয়তো তা শেয়ার করতে পারছেন না।
তাই আগে তার সঙ্গে কথা বলুন। আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন। যদি খোঁজ নিয়ে বুঝতে পারেন কোনো ঝামেলা নেই, তাহলে এবার অন্য কিছু ভাবুন।
তিনি অন্য কোনো নারীতে আসক্ত হচ্ছেন কি না খোঁজ নিন। আর যদি এরকম কিছু পান তাহলে স্বামীকে নয়, আগে নিজেকে পরিবর্তন করুন। স্বামীকে পরকীয়া থেকে দূরে রাখতে কিছু পরামর্শ মেনে চলুন-
১. বেশিরভাগ নারীই বিয়ের পর বদলে যান, আর সন্তান হওয়ার পর তো সেই পরিবর্তন আরও ভয়াবহ। একেবারেই যেন অন্য মানুষ হয়ে ওঠেন।
একটা জিনিস মনে রাখবেন, প্রিয় পুরুষটি কিন্তু বিয়ের আগের আপনাকে দেখেই ভালোবেসেছেন। তাই বিয়ের পর নিজেকে ধরে রাখুন। এতটাও বদলে যাবেন না যে স্বামীর কাছে আপনাকে অচেনা মনে হয়।
২. বিনা কারণে অমূলক সন্দেহ করা বন্ধ করুন বা সন্দেহ করে কথা শোনানো বন্ধ করুন। এই অমূলক সন্দেহ করার প্রবণতা স্বামীর মনে আপনার প্রতি অনীহা ও অন্য নারীর প্রতি আগ্রহ জন্মায়।
৩. স্বামীকে শাসন করার চেষ্টা করবেন না। সর্বদা এটা করো, সেটা করো বলতে থাকবেন না। তিনি আপনার জীবনসঙ্গী, বাড়ির কাজের লোক নন। অতিরিক্ত শাসন করলে মানুষটা নিশ্চিত অন্য নারীর দিকে ঝুঁকবেন।
আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে ১০টি কথা মনে রাখলে সফল হবেন
৪. স্বামীকে ঘিরে রাখুন ভালোবাসায়। প্রেমিকার মতো ভালোবাসুন, মিষ্টি রোমান্টিকতায় ভরে রাখুন, তার মন যেন আপনাদের ভালোবাসা ও বিশ্বাসের বন্ধ অটুট থাকে।
৫. নিজের সংসারকে করে তুলুন এক টুকরো শান্তির নীড়, যেন দিন শেষে এখানে ফিরে আপনারা মনের মাঝে খুঁজে পান অনাবিল প্রশান্তি। সংসারে সুখ আছে যেসব পুরুষের, তারা বাইরের দিকে আকৃষ্ট হয় না।
৬. একটা কথা মনে রাখবেন, দাম্পত্যের ক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে চোখ বুজে বিশ্বাস করবেন না। যতই হোক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বা প্রিয় কাজিন, কারো কথাই চোখ বুঝে বিশ্বাস করবেন না ও কাউকে নিজেদের দাম্পত্যে কথা বলার সুযোগ দেবেন না।
৭. নিজের শ্বশুরবাড়ির সবাইকে ভালবাসুন, সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। চেষ্টা করুন মানিয়ে নিতে। আপনি তার পরিবারকে ভালো না বাসলে এটা খুবই স্বাভাবিক যে স্বামী আপনার প্রতিও ভালোবাসা হারিয়ে ফেলবেন।
৮. কখনো এমন কিছু বলবেন না, যাতে স্বামীকে অক্ষম বলা হয়। তার বেতন, চাকরি বা অন্য কিছু নিয়ে খোটা দেবেন না।
বা এমন বলবেন না যে ‘আমি ছাড়া তোমাকে আর কে বিয়ে করবে’। এসব কথায় পুরুষেরা রেগে গিয়ে স্ত্রীকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য পরকীয়া করে বসেন।
লেখক- কবি ও সাংবাদিক