এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : টিভি হোয়াইট স্পেসের যথোপযুক্ত ব্যবহার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে থাকা কোটি কোটি মানুষ পাবে ব্রডব্যান্ড সুবিধা। চলতি মাসে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত প্রযুক্তিবিষয়ক এক সম্মেলনে তুলে ধরা হয় টিভি হোয়াইট স্পেস ব্যবহারের বিষয়টি।
তারহীন স্পেকট্রামে অব্যবহৃত তরঙ্গগুলোই হোয়াইট স্পেস, যা ‘সুপার ওয়াই-ফাই’ হিসেবে কাজ করতে পারে। বাফারিংয়ের স্বার্থে টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো চ্যানেলগুলোর মধ্যে জায়গা রেখে দেয়। এই জায়গাগুলো ফোর-জিতে ব্যবহৃত জায়গার মতো। সুতরাং, এগুলো বড় পরিসরে ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রচলিত কোনো প্রযুক্তির সঙ্গেই এর মিল নেই। কারণ, টিভিগুলোর প্রোগ্রামিংয়ের জন্য যেসব তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়, একই তরঙ্গ ব্যবহার করে এই প্রযুক্তি। প্রান্তিক-ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছাতে এর রয়েছে স্পেকট্রাম সুবিধা।
পরিবেশগত বাঁধার মধ্যেও কাজ করতে সক্ষম
যেভাবে এটা কাজ করে
রুরালকানেক্ট সংযোগ কেন্দ্র
এন্টেনা
রুরালকানেক্ট
গ্রাহক ইউনিট
ব্রডব্যান্ড সংযোগ
১০ কি.মি
১. রুরালকানেক্ট রেডিও নিজ এলাকায় প্রাপ্য সব চ্যানেলের তালিকা সংবলিত অনলাইন ডেটাবেইস খোঁজ করে।
২. ডেটাবেইস সেই ফাঁকা চ্যানেলগুলোর তালিকা দিয়ে দেয়, যেগুলো রুরালকানেক্টের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না।
৩. বেস স্টেশন গ্রাহকের রেডিওতে একটা সংকেত পাঠিয়ে দেয়। এতে সংযুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
একবার সংযুক্ত হলেই
প্রচলিত ওয়াই-ফাই রাউটার ৫০০ মিটার জায়গাকে (২.৪ ও ৫x গিগাহার্টজ) নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সক্ষম। টিভি হোয়াইট স্পেস নেটওয়ার্ক পারে ১০ কিলোমিটার (৪৭০-৭০০ মেগাহার্টজ) জায়গাকে।
গ্রামীণ এলাকাতেও শক্তিশালী সংকেত পাঠাতে সক্ষম এই প্রযুক্তি।-প্রথমআলো