আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লক্ষ লক্ষ বছর আগে ডাইনোসরের মতো দৈত্যাকার প্রাণীরা পৃথিবীতে রাজত্ব করত, একথা বললে ভুল কিছু বলা হবে না। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা যায় যে পৃথিবীর সঙ্গে একটি বিশালাকার উল্কাপিণ্ডের সংঘর্ষের ফলে পৃথিবীতে উপস্থিত সব ডাইনোসর ধ্বংস হয়ে যায়।
এমনকি প্রমাণ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ডাইনোসরের হাড় ও দেহাবশেষ পাওয়া যায়। বর্তমানে, বিজ্ঞানীরা ৭০ মিলিয়ন বা ৭ কোটি বছর পুরনো ডাইনোসরের একটি প্রজাতি খুঁজে পেয়েছেন। তাও আবার ‘ঘুমন্ত’।
৭ কোটি বছর আগের কথা…
রিপোর্ট অনুযায়ী, যে নতুন প্রজাতির ডাইনোসরটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তা ৭ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বসবাস করত। এদের দেহে কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক দিকটি ছিল এর ঘুমনোর পদ্ধতি। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, এই প্রজাতির ডাইনোসররা পাখির মতো করে ঘুমোয়।
জীবাশ্মবিদদের মতে, এটি একটি বিরল আবিষ্কার। এটিকে পরীক্ষা করলে পরবর্তীকালে আরও অনেক নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। সেই থেকে হয়তো অনেক নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা যাবে।
এমন অদ্ভুত ডাইনোসর কোথায় পাওয়া গেল?
পিএলওএস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, এই নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের নাম জ্যাকুলিনিকাস ইয়ারুই, যার জীবাশ্মের অবশেষ পাওয়া গিয়েছে।
দক্ষিণ মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমির এক জনশূন্য এলাকায়। বিজ্ঞানীদের মতে, এই আবিষ্কারের সবচেয়ে মজার দিক হল জীবাশ্মটি এমন একটি অবস্থানে পাওয়া গিয়েছে, যা দেখে মনে হচ্ছে সে যেন ঘুমিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ যখন মারা গিয়েছে তখন ঘুমচ্ছিল।
ডাইনোসরের মাথা পাখির মতো…
সমীক্ষা অনুসারে, জ্যাকুলিনিচুস ইয়ারুই একটি ছোট ডাইনোসর ছিল, যা প্রায় ৩ ফুট লম্বা এবং সম্ভবত ৬৫ পাউন্ডের কম ওজনের ছিল, অর্থাৎ প্রায় ২৯ কেজি।
এ ছাড়া তাদের ছিল পাখির মতো মাথার খুলি, বড় চোখ, কিন্তু ছোট পা। বিজ্ঞানীদের মতে, তারা খুব দ্রুত দৌড়াতে পারতো। এই ডাইনোসরের জীবাশ্মগুলি জুরাসিক যুগের (প্রায় ১৬৩-১৪৫ মিলিয়ন বছর আগে) এবং ক্রিটেসিয়াস যুগের (প্রায় ১৪৫-৬৬ মিলিয়ন বছর আগে) বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।