এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : শীত আসতেই অনেকে ব্যবহার শুরু করেন রুম হিটার। এটি তাৎক্ষণিক ঘর গরম করে বলে শীতে এর চাহিদা বাড়ে। অধিকাংশ হিটারের ভেতরেই গরম ধাতুর পাত বা সিরামিক কোর থাকে।
ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য গরম হাওয়া বের করে এটি। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও এখন শীতকালে রুম হিটার ব্যবহারের প্রচলন বেড়েছে।
রুম হিটার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
>> রুম হিটার চালু করার পর ঘরের তাপমাত্রা গরম হতে থাকে। ঘর পর্যাপ্ত গরম হলে হিটার বন্ধ করে দিতে হবে।
>> রুম হিটারটি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ঘরের ফাঁকা অংশে হিটার রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
>> ঘরের দরজা-জানালায় ফাটল কিংবা ছিদ্র থাকলে তা বন্ধ করে তারপর হিটার চালু করুন।
>> রুম হিটার একটানা ৩-৪ ঘণ্টা চালিয়ে রাখলেই হয়। সব সময় রুম হিটার চালিয়ে রাখলে বিদ্যুৎ বিলও বাড়বে আবার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাতেও ভুগবেন।
অতিরিক্ত রুম হিটার ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
যে কোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্য অধিক পরিমাণে ব্যবহার করলে কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ঠিক তেমনই অতিরিক্ত রুম হিটার ব্যবহারেও শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। জেনে নিন কী কী-
>> ঘরের আর্দ্রতা কমে যায় ও ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে
>> যাদের অ্যালার্জি বা সোরিয়াসিসের সমস্যা আছে তাদের শরীর চুলকাতে পারে
>> ভুলেও হিটারের পাশে বসবেন না। অ্যাজমার রোগীরা রুম হিটারের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।
>> এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস ও সাইনাসের রোগীরাও এই যন্ত্রের কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন। হিটারের বাতাস এসব রোগীর ফুসফুসে কফ জমাতে শুরু করে।
এ কারণে হাঁচি-কাশি হতে পারে। আবার ফুসফুসে জমে থাকা কফ শুকিয়ে গেলে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে।