এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : গ্রামের একটি মাত্র স্কুল। সেখানে শিক্ষকও মাত্র একজন। অথচ স্কুলটিতে পড়া-লেখা করে কয়েক শ' ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু তার একার পক্ষে কি চারটি শ্রেণিতে পাঠদান করা সম্ভব? এক শ্রণিতে যান তো অন্য শ্রেণি ফাকা। তবু এতদিন স্কুলটি চালিয়ে এসেছেন তিনি।
সেই শিক্ষকও অবসর নিচ্ছেন আর কয়েক মাস পরে। এমনিতেই শিক্ষকের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পড়াশোনা। তাই বিপাকে পড়েছে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা।
একজন শিক্ষকের পক্ষে চারটি শ্রেণিকে দেখা কঠিন হয়ে পড়ছে। অধিকাংশ দিন শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হচ্ছে পঠনপাঠন। গত এক বছরে নতুন কোনও শিক্ষক না-আসায় সমস্যায় পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে গত কয়েক মাসে গ্রামবাসীরা প্রশাসনের দারস্থ হলেও মেলেনি কোনও সমাধান।
এ তো গেল একদিকের সমস্যা। তার উপরে কয়েক মাস পর কী হবে স্কুলের ভবিষ্যৎ, তা নিয়েই চিন্তায় ছাত্র-ছাত্রীরা। ইতিমধ্যেই স্কুল ছেড়েছে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী। বাকিদের কী হবে, তা নিয়ে অভিভাবকরা রয়েছেন দুঃশ্চিন্তায়।
এই বেহাল দলা ভারতের হুগলির গোঘাটের কৃষ্ণবল্লভপুর জুনিয়র হাই স্কুলের। কিন্তু তা নিয়ে হেলদোল নেই প্রশাসনের।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস