রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:১৫:৪৫

এবার ই-নাক ধরে ফেলবে খাদ্যের বিষ ক্রিয়া

এবার ই-নাক ধরে ফেলবে খাদ্যের বিষ ক্রিয়া

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : খাদ্যে বিষক্রিয়া এখন পুরো পৃথিবীতে একটি গুরুতর সমস্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রতি ছয়জনে একজন আক্রান্ত হয় খাদ্যে বিষক্রিয়ায়। 

প্রায় দেড় লাখ লোক হাসপাতালে ভর্তি হয় ও তিন হাজার মানুষ মারা যায়। ব্রিটেনে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনা কম হলেও এখানে প্রতি বছর আড়াই মিলিয়ন বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটে ও গড়ে ১৮০ জন মারা যায়।

তবে বেশিরভাগ মানুষের মতে মাছ, মাংশ কিংবা মুরগির জন্য খাদ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেশি ঘটলেও পরিসংখ্যান বলে গত ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ছিল এক ধরনের লেটুস পাতা যেটি রোমাইন নামে পরিচিত। 

দ্রুত পচনশীল এসব খাবার তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করে ফলাফল পাওয়া সম্ভব ছিল না এতদিন । ফলে না জেনেই মানুষ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াযুক্ত খাবার গ্রহণ করত। এখানেই ব্যতিক্রম ভূমিকা পালন করতে পারবে ই-নাক।

ই-নাকের প্রতিষ্ঠাতা কম্পানি সেনসিফির সিইও মোদি পেলেডের মতে, খাদ্যের মান যাচাইয়ের জন্য খাদ্য প্রস্তুতকারকদের পরীক্ষাগারে খাবারের নমুনা পাঠানোর পর ফলাফলের জন্য বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয়। অন্যদিকে আমাদের তৈরি ই-নাকের সাহায্যে খাদ্য কম্পানিগুলো ঘটনাস্থলেই এক ঘণ্টারও কম সময়ে ফলাফল পেতে পারে।

সেনসিফি সংস্থাটি তাদের তৈরি ই-নাকের নামও রেখেছে সেনসিফি। তবে ই-নাকের দামের ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, প্রস্তুতকারকদের মতে, এটি তুলনামূলক সস্তা হবে।

আমাদের নাকে প্রায় ৪০০ রিসেপ্টর রয়েছে, যা এক ট্রিলিয়ন বিভিন্ন গন্ধ শনাক্ত করতে পারে। নাকের এই সংবেদনশীল দক্ষতার সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করা বড় চ্যালেঞ্জ হলেও ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তায় এটিই বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। খাদ্যবাহিত সবচেয়ে বড় ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া হলো সালমোনেলা এবং ই কোলি বা এসচেরিচিয়া কোলাই।

সেনসিফি নামের ইলেকট্রনিক্স নাকের সহকারী ডেভেলপার ও ইসরায়েলের নেগেভের বেন গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক রাজ জেলিনেকের মতে, এই দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার নিজস্ব সিগনাল আছে, যেগুলো বৈদ্যুতিক সিগনাল হিসেবে কাজ করে।

ইসরায়েলের তৈরি সেনসিফি ই-নাকে ইলেকট্রড থাকে যা কার্বনের ন্যানো পার্টিক্যাল দিয়ে পুরোপুরি মোড়ানো। এই কারণে সালমোনেলা এবং ই কোলি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা যে বৈদ্যুতিক গন্ধ বা উদ্বায়ী জৈব যৌগ থাকে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়। 

পরবর্তীতে এআই সফটওয়্যার সিস্টেম দিয়ে পুরো তথ্য রেকর্ড করে মূল ডাটাবেসের সঙ্গে যুক্ত করে ব্যবহারকারীদের সঠিক তথ্য অবহিত করা হয়। সূত্র : কালের কণ্ঠ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে