মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:০০:৩১

বিশ্বযুদ্ধে

বিশ্বযুদ্ধে

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রশান্ত মহাসাগরের সাগরের তলদেশ হতে ৬৪ বছর পর অক্ষত রণতরি আবিষ্কার! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রশান্ত মহাসাগরে বিমানবাহী এই রণতরিটি ডুবে গিয়েছিল। মনে হচ্ছে যেন এখনই জাহাজের পাটাতনের ওপর দিয়ে সাঁই করে ছুটে যাবে কোনো এক বিমান। মহাযুদ্ধের সাক্ষী জাহাজটিকে প্রায় অক্ষত অবস্থায় পেয়ে উচ্ছ্বসিত যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)।

গত বৃহস্পতিবার এনওএএ জানায়, জাহাজটির নাম ইউএসএস ইনডিপেনডেন্স। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত জাহাজগুলোর অন্যতম একটি ছিল এটি। হালকা বিমান বহন ও উড্ডয়নের ব্যবস্থা ছিল জাহাজটিতে। বিশ্বযুদ্ধের পরও বিভিন্ন অভিযান ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এটিকে কাজে লাগানো হয়েছে। বহু ব্যবহারের পর বুড়ো জাহাজটিকে সাগরের গভীরে টেনে নিয়ে ডুবিয়ে দেয়া হয়। সেটা ছিল ১৯৫১ সাল। ক্যালিফোর্নিয়ার ফেরালোনস দ্বীপপুঞ্জ-সংলগ্ন সাগরের পানিতে এটিকে ডুবিয়ে দেয়া হয়। সম্প্রতি সেটার অবস্থা পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নেয় এনওএএ।

দেখা যায়, প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায় দুই হাজার ৬০০ ফুট গভীর তলদেশে প্রায় খাড়া অবস্থায় ডুবে আছে জাহাজটি। এনওএএর ন্যাশনাল মেরিটাইম স্যাংচুয়ারির চিফ সায়েন্টিস্ট জেমস ডেলাগোর ধারণা, জাহাজের ভেতরে অনুসন্ধান চালালে হয়তো এখনো দেখা যেতে পারে একটি হালকা বিমানের। তবে ভেতরে অনুসন্ধান চালানোর কোনো ইচ্ছা যে আপাতত কর্তৃপক্ষের নেই সে কথাও জানিয়ে দিলেন এই বিজ্ঞানী।

উল্লেখ্য, ১৯৪৩ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৪৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত মধ্য ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নিয়োজিত ছিল ইউএসএস ইন্ডিপেন্ডেন্স। ১৯৪৬ সালে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রকল্পে যে ৯০টি জাহাজ অংশ নেয়, এটি তাদের অন্যতম। সেই হিসেবে পারমাণবিক বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তাও সহ্য করতে হয় ইউএসএস ইন্ডিপেন্ডেন্সকে।

ঐতিহাসিক ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজের অবস্থান চিহ্নিত করার এক বিশেষ প্রকল্পের আওতায় খুঁজে বের করা হয়েছে এ রণতরীকে। তবে এর অভ্যন্তরে প্রবেশ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে নোয়া।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে