আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত একটা গোটা শহরের মানুষ একই ছাদের তলায় বসবাস করেন। বাজার থেকে শুরু করে চিকিৎসালয় বা রেস্তোরা সবাই একই জায়গায় যান।
এমনকি ওই ছাদের নিচেই রয়েছে একটি থানা, পোস্ট অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি দপ্তরও। প্রশাসনিক কাজের জন্য কাউকেই বাড়ির বাইরে যেতে হয় না। অনেকের অফিসও ওই ছাদের নিচেই।
একই ছাদের তলায় থাকা এই ছোট্ট শহরের মনোরঞ্জনের জন্য একটি ক্লাবও রয়েছে। নিত্যদিনের প্রার্থনের জন্য বাইরে যেতে হয় না, সেখানেই রয়েছে একটি গির্জা। গোটা শহরে ওই একটি মাত্র বহুতল, তাই গোটা শহরটা প্রায় সব কিছু নিয়ে ঢুকে পড়েছে এই একই ছাদের তলায়। সব মিলিয়ে ৩১৮ জন বাসিন্দা রয়েছেন।
বাগিচ টাওয়ারের বয়স প্রায় ৮০। হুইটিয়ার শহরেরও বয়স প্রায় তার কাছাকাছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনা বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছিল এই অঞ্চলে। সেই সেনাদের প্রয়োজনীয়তার জোগান দিতেই তৈরি হয় একের পর এক সুবিধা— জলের সংযোগ, বিদ্যুৎ, রেলপথ, এমনকি একটি স্টেশনও।
শহরটির নাম হুইটিয়ার! আমেরিকার আলাস্কার এক চিলতে জনপদ। ১৪ তলা ভবনের বাড়িতে চারপাশে উঁচু উঁচু পাহাড় আর সেই পাহাড়ের মাথায় বরফের চূড়া। বাড়িটির নাম বগিচ টাওয়ার। দূর থেকে দেখলেই বাড়িটি কোন হোটেল মনে হতে পারে, কিন্তু একসময় ছিল এটি সেনাবাহিনীর আবাসস্থল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সেনা বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছিল এই অঞ্চলে। তাদের প্রয়োজনীয়তার যোগান দিতেই তৈরি হয় একের পর এক সুবিধা — জলের সংযোগ, বিদ্যুৎ, রেলপথ এমনকি একটি রেলস্টেশনও। যুদ্ধ শেষ হলে সেনাদের ছেড়ে যাওয়ার পর এই সুযোগ সুবিধার অনুকূলে গড়ে উঠতে থাকে জনপদ, যা ধীরে ধীরে বদলে যায় একটি পুরো শহরে।