ঘুমের ধরন দেখে চেনা যায় মানুষ!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মানুষ চেনা যায় আচার-আচরণ, চলাফেরা, পছন্দ-অপছন্দের পার্থক্য দিয়ে। এবার যদি বলি, ঘুম দিয়েও চেনা যায় মানুষ। চমকে গেলেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। জ্যোতিষ মতে, প্রত্যেক রাশির জাতকের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে তাদের ঘুমানোর ভঙ্গিতেও! তা কীভাবে? লিখেছেন জ্যোতিষী রীতু শুক্লা।
মেষ : অতিরিক্ত ছটফটে হওয়ায় ঘুমের মধ্যেও এঁদের ব্রেন বিশ্রাম নেয় না। কিছু না কিছু চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেয়েই চলেছে। ফলে টানা ৪-৫-র বেশি ঘুমাতেই পারেন না এরা! মেষ রাশির জাতক একটু বেশিক্ষণ শুয়ে আরাম করতে চাইলে ঠাণ্ডা ঘরে শোওয়ার ব্যবস্থা করুন।
বৃষ: অধিপতি শুক্র হওয়ায় যা কিছু সুন্দর তাই-ই এদের পছন্দ। শোওয়ার ক্ষেত্রেও এ নিয়ম খাটে। তাই সাজানো গোছানো ঘর, পরিচ্ছন্ন বিছানা, নরম বালিশ ছাড়া বৃষ রাশির জাতকের ঘুম আসে না!
মিথুন: এদের স্বভাব এক্কেবারে মেষ রাশির জাতকের মতো। এরাও ঘুমের মধ্যে বড্ড ছটফট করেন। ফলে ঘুম ভালো হয় না। টেনশন ফ্রি হয়ে ঘুমাতে চাইলে এদের নিয়মিত মেডিটেশন করতে হবে।
কর্কট : এই রাশির জাতকদেরও ঘুমিয়েও শান্তি নেই! কারণ, তখনও যে এরা কল্পনার জগতেই বিচরণ করেন। কর্কট রাশির লোক হয় প্রচণ্ড ঘুমকাতুরে হন নয়তো অনিদ্রায় ভোগেন এবং ঘুমোলেই দুঃস্বপ্ন দেখেন!
সিংহ : এরা আরাম করে ঘুমোতে জানেন। আর ঘুমের সময় প্রিয়জন পাশে থাকলে তো কথাই নেই! সেই ঘুম আরো তৃপ্তির। আরও গভীর। এরা হাত-পা ছড়িয়ে অনেকটা জায়গা নিয়ে শুতে ভালোসেন। আর একটা ভীষণ ভালো ব্যাপার হলো- শোওয়ার সময় সারাদিনের যাবতীয় দুশ্চিন্তা মাথার বাইরে রেখে এরা ঘুমোতে যান। ফলে ঘুমিয়ে উঠলেই তরতাজা।
কন্যা : এই রাশির অধিপতি গ্রহ বুধ। স্বভাব-বৈশিষ্ট্য হলো, এরা ভীষণ খুঁতখুঁতে, চিন্তাগ্রস্ত। সংসারের খুঁটিনাটি নিয়ে সব সময় কিছু না কিছু চিন্তা করেই চলেন। এত চিন্তা নিয়ে কি আর ঘুম ভালো হয়? কন্যা রাশির জাতক তাই কখনো ঘুমিয়ে তৃপ্তি পান না।
তুলা : এই রাশির জাতক ঘরে-বাইরে, কাজে-আচরণে সব সময় প্রচণ্ড ভারসাম্য বজায় রেখে চলেন। এমনকী ঘুমের সময়েও এরা ব্যালান্সড!
বৃশ্চিক : এরা খুব মুডি। সবকিছুই নির্ভর করে এদের মানসিকতার ওপর। এরা চঞ্চলমতির। রাত জাগা এদের স্বভাব। ফলে প্রায়ই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ভালোভাবে ঘুমোতে চাইলে এদের মেডিটেশন করা আবশ্যিক।
ধনু : বেড়াতে ভালোবাসেন বললে খুব কম বলা হবে। ভ্রমণ এদের রক্তে মিশে রয়েছে। এতোটাই যে, ঘুমের মধ্যেও শুধু বেড়ানোর চিন্তা মাথায় ঘোরে! তাতে ঘুম-খাওয়া বন্ধ হলেও আপত্তি নেই। এ অনিয়মের ধকল তো শরীরে, মনে পড়বেই। তবু বেড়ানো এদের পিছু ছাড়ে না।
মকর : এরা ঘোর বাস্তববাদী। সবকিছুই এঁদের কাছে কেবলই পালনীয় কর্তব্যমাত্র। নিয়ম করে ঘুমানোটাও এর মধ্যে পড়ে। ঘুমকে মোটেই আরাম বা বিশ্রামের তালিকায় ফেলেন না। ফলে কোনও কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে প্রচণ্ড বিরক্ত হন।
কুম্ভ : মেষ, মিথুনের মতো এঁদের মাথাও ঘুমের সময়ে কাজ করে। ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও এরা আগামী দিনে কী ঘটতে চলেছে- সেই ভাবনায় ব্যস্ত। ফলে কখনোই ঘুম সম্পূর্ণ হয় না। অথচ সুস্থ থাকার জন্য ঘুমটাও ভীষণ জরুরি! অগত্যা সুযোগ পেলেই দিনের যেকোনো সময়ে এরা ছোট্টো করে ঘুমিয়ে নেন।
মীন : এই রাশির জাতক দিবাস্বপ্ন দেখতে খুব ভালোবাসেন। কেন? কারণ এর মাধ্যমে একইসঙ্গে যাবতীয় নেগেটিভ এনার্জি এবং বাস্তব জগত্ থেকে নিজেদের সরিয়ে কল্পলোকে বিচরণ করতে পারেন যে!
তা বলে ভাববেন না যেন, এরা ঘুমান না! বরং ঘুম এদের জন্য অতি জরুরি। কারণ ঘুমের মধ্যেও জেগে দেখা স্বপ্নগুলোকে আবারো ঝালিয়ে নেন এরা!