এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভারতীয় সমাজে বিবাহ ঐতিহ্যগতভাবে একটি পবিত্র বন্ধন। কিন্তু পরিবর্তনশীল সমাজে বিবাহ সংক্রান্ত মানুষের চিন্তাধারা এবং অনেক নিয়মেও পরিবর্তন এসেছে। সাধারণত আমাদের সমাজে দেখাশোনা করে বিয়ের রীতি থাকলেও এখন তরুণ প্রজন্ম প্রেমের বিয়ের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
কোন নারী কোন পুরুষের হৃদয়ে থাকবে বা কোন পুরুষ কোন নারীর হৃদয়ে জায়গা করে নেবে তা আগে থেকে কিছুই বলা যায় না। প্রেম বয়স দেখে না। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। যেমন ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের কথা বললে তার স্ত্রী অঞ্জলি শচীন টেন্ডুলকারের চেয়ে প্রায় ৩-৪ বছরের বড়।
কিন্তু এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে জানিয়ে রাখি যে বিজ্ঞানের বিবাহ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। আসলে, এখানে আলোচনা হচ্ছে যে একজন পুরুষ ও একজন নারীর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ন্যূনতম বয়স কত হওয়া উচিত নিয়ে।
বিজ্ঞানের মতে, নারী পুরুষের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটলে তারা শারীরিক সম্পর্কে সক্ষম। এই পরিবর্তন ৭-১৩ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে শুরু করে আর পুরুষদের এই পরিবর্তন ঘটে ৯-১৫ বছরের মধ্যে। এই হরমোনের পরিবর্তন পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে তাড়াতাড়ি ঘটে।
তবে এই হরমোন পরিবর্তনের মানে এই নয় যে ছেলে বা মেয়েকে তখনি বিয়ে করতে হবে। আমাদের দেশে মেয়েদের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের বয়স ২১ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী স্বামী ও স্ত্রীর বয়সে তিন বছরের ব্যবধান এখানে আইনগত গ্রহণযোগ্য।
ঐতিহ্যগতভাবে, ভারতীয় সমাজে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের মধ্যে পার্থক্য তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে গ্রহণযোগ্য।কখনো কখনো ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেও হয়। বলিউড অভিনেতা শাহিদ কাপুর ও তার স্ত্রী মীরা কাপুরের মধ্যে প্রায় ১৫ বছরের ব্যবধান রয়েছে।