এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : রান্না করার সময় অনেক সবজিরই খোসা ফেলে দিয়ে রান্না করা হয়। সব সবজির খোসা খাওয়া যায় না একথা সত্যি। কিন্তু অনেক সবজির খোসাতেই থাকে প্রচুর পুষ্টি।
পুষ্টিবিদদের মতে, সেসব সবজির খোসা বাদ না দিয়েই রান্না করা উচিত। এতে পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে হবে না। তাই এক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে আপনাকেই।
বাড়িতে রান্না করার সময় আমরা বেশিরভাগ সবজির খোসা ফেলে দিই অভ্যাসবশত। তবে সেসব সবজির খোসার পুষ্টির কথা জানলে এই কাজ থেকে বিরত থাকা সহজ হবে।
খোসাসহ রান্না করলে স্বাদে খুব একটা পার্থক্য না হলেও মিলবে পর্যাপ্ত পুষ্টি। এত সহজে পাওয়া পুষ্টি ফেলে দেবেন কেন? আপনার হয়তো জানা নেই কোন সবজির খোসা ফেলে না দিয়েও রান্না করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. শসা : সালাদ তৈরিতে শসা ব্যবহার করেন নিশ্চয়ই? এটি খাওয়া যায় তরকারি হিসেবে রান্না করেও। তবে যেভাবেই খান না কেন, শসার খোসা ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই সবজির খোসায় থাকে সিলিকা নামক উপকারী উপাদান। যা ত্বকের পুষ্টির জন্য দারুণ কার্যকরী। তাই শসা খোসাসহই খেতে পারেন।
২. গাজর : কমলা রঙের এই সবজি কাঁচাই খাওয়া যায়। আবার রান্না করেও খাওয়া হয় সুস্বাদু গাজর। এই সবজিতে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবার। গাজরের খোসা ছাড়ানোর প্রয়োজন হয় না। ওপর থেকে হালকা করে ছাল ছাড়িয়ে নিলেই যথেষ্ট। গাজর দিয়ে সালাদ, হালুয়া, লাড্ডুসহ মজাদার অনেক খাবারই তৈরি করা যায়।
৩. আলু : খোসা ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই এমন একটি সবজি হলো আলু। এই সবজির খোসায় থাকে প্রচুর ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে। তাই আলু দিয়ে কিছু তৈরি করার সময় এর খোসা ফেলার প্রয়োজন নেই। খোসাসহ রান্না করলেই মিলবে বাড়তি পুষ্টি। তাহলে এখন থেকে অভ্যাস বদলে ফেলুন। খোসাসহই তৈরি করুন আলুর সুস্বাদু সব পদ।
৪. টমেটো : টমেটো দিয়ে সালাদ, স্যুপ, চাটনিসহ অনেক খাবারই তৈরি করে খাওয়া হয়। এটি কাঁচা এবং রান্না করে দুইভাবেই খাওয়া হয়। এই সবজির খোসা ফেলার প্রয়োজন হয় না। কারণ এর খোসায়ও থাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণ। তাই টমেটো দিয়ে যাই তৈরি করুন না কেন, খোসাসহই তৈরি করুন। এতে পুষ্টির ঘাটতি হবে না।