এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : অনেক সময় এই ধরনের স্টিকার দেখিয়ে বেশি দামও চাওয়া হয়। সত্যি ঠিক কী বোঝায় এই স্টিকার? আমরা অনেকে সময়ে বাজার বা গ্রসারি শপ থেকে ফল কিনতে গিয়ে দেখি, আপেল, নাসপাতি, আম, কমলালেবু ইত্যাদি ফলের গায়ে লাগানো রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট একটি স্টিকার।
কখনও কখনও সেই স্টিকার বেশ চোখে পরে। অনেকেই ভেবে নেন, ফলের গায়ে লাগানো এই স্টিকারগুলো বোধহয় গুণমানের পরিচায়ক।
শুধু তাই নয়, কেউ কেউ ভাবেন, এই ফলগুলো বোধহয় বিদেশ থেকে আমদানি করা। কিন্তু সত্যিই কি তাই? ফলের গায়ে এই 'স্টিকার' এর মানে কি? জানুন
চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই নিয়ে ঘোড়ার মুখের কথা। সন্ধান করতে গিয়ে জানা যাচ্ছে, ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ বা ‘এফএসএসএআই’ বলছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের গুণমান, দাম ও কী ধরনের প্রক্রিয়ায় ফলটি উৎপাদিত হয়েছে তা বুঝতে।
কিন্তু এ দেশে আদৌ এমন কোনও নিয়ম নেই। বরং এই ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হয় ফলের খুঁত ঢাকা দিতে কিংবা ফলগুলি অন্য ফলের তুলনায় ভাল— এমন প্রমাণ করতে। অনেক সময় এই ধরনের স্টিকার দেখিয়ে বেশি দামও চাওয়া হয়।
সুতরাং ফলের গায়ে স্টিকার দেখেই সেই ফল ভাল বলে ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে শুধু ভারত নয়, স্টিকারের মাধ্যমে ভোক্তাকে বিভ্রান্ত করার বিষয়টি অন্য অনেক দেশেও হয়ে থাকে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাছাড়া, ব্যবহৃত স্টিকারগুলো যে আঠা দিয়ে ফলের গায়ে লাগানো থাকে, সে সম্পর্কেও বিশেষ নজরদারি নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই এ ধরনের আঠায় ব্যবহৃত রাসায়নিক উল্টো ফল ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
তবে এও ঠিক যে, পৃথিবীর সব দেশের ক্ষেত্রে কিন্তু ফলের গায়ে লাগানো স্টিকার মানেই তা অর্থহীন কিছু নয়।
খাদ্যের গুণমান নির্ণায়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘আইএফপিএস’ বলছে, স্টিকারে যদি চার সংখ্যার কোনও কোড থাকে, তাহলে এর অর্থ হল ফলটি উৎপাদনে সাধারণ সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে।
কোডটি পাঁচ সংখ্যার হলে এবং কোডের প্রথম সংখ্যাটি ৮ হলে তার অর্থ- ফলটি ‘জেনেটিকালি মডিফায়েড’ বা জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ফলানো। আর পাঁচ সংখ্যার কোডটি যদি ৯ দিয়ে শুরু হয় তবে তার অর্থ- সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিতে ফলানো হয়েছে ফলটি।