বিস্ময়কর শিশু এজে !
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আফ্রিকাকে নাচিয়ে ছেড়েছে এক ডিসকো জকি নাম তার এজে। ঠিকমতো কথা বলতে শেখার আগেই ব্যাপক জনপ্রিয় এ ক্ষুদে তারকা।
এজের বয়স মাত্র দুই বছর। বয়সে নেহাতই শিশু হলেও তার ডিজে দক্ষতা যে বড়দের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়, সেটার প্রমাণ হাজার হাজার ফ্যান ফলোয়ার।
ডিজেগিরিতে এজে এতটাই ভালো যে,তার হেভি বেজের হাউস মিউজিক শুনতে ভক্তরা রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ে। রেকর্ডধারী এ পুঁচকে বাজনাদার এরই মধ্যে বেশকিছু চলচ্চিত্রের বিশেষ দৃশ্যে অভিনয়ও করেছে। আর বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ড তো তার অনুষ্ঠানের স্পন্সরশিপ দিতে এক পায়ে খাড়া।
সম্প্রতি তার নিজের শহর জোহানেসবার্গের একটি শপিংমলে হয়ে গেল তার ডিজে প্রোগ্রাম। এজের সুরে মাতোয়ারা হতে সেখানে সৃষ্টি হয় উপচেপড়া ভিড়।
এজের মা রেফিলো মারুমো অবশ্য ছেলের এ বিষ্ময়কর প্রতিভার পুরো কৃতিত্ব দেন তার স্বামী গ্গ্নেন লংওয়ানেকে। ছেলের জন্মের আগেই নাকি গ্গ্নেন একটি আইপ্যাড কিনে রেখেছিলেন তার জন্য। পেশায় জিমন্যাস্টিকসের এ কোচ বাচ্চাদের দ্রুত শেখানোর জন্য বিভিন্ন অ্যাপস ডাউনলোডের উদ্দেশ্যেই আইপ্যাডটি কেনেন।
মজার ব্যাপার হলো, তিনি নিজেও একজন ডিজে হওয়ায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে অনেকগুলো ডিজে মিউজিকও ডাউনলোড করেন। আর বয়স বছর না পেরুতেই বাবার দেখাদেখি সেই ফোন ব্যবহার করতে শিখে ফেলে এজে। সেখানেই তার ডিজেগিরির হাতেখড়ি। অ্যাপসগুলো শুনতে শুনতেই ধীরে ধীরে সেগুলোকে নিজের মতো করে বাজাতেও শেখে সে।
গ্গ্নেন জানান, ডিজে মিক্সিং করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যখন তিনি একটু গা এলিয়ে দিতেন, ঠিক তখনই এজে মিক্সারের কাছে গিয়ে নবগুলো ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করত। সে এত নিখুঁতভাবে সাউন্ড এবং বিটের টাইমিং করত যে, যেন কতকাল ধরে সেটা জানে!
গর্বিত এ বাবা-মা তাদের ছেলের ডিজে প্রতিভার ভিডিও ধারণ করে পরে তা অনলাইনে পোস্টও করেন। আপলোডের পরপরই সেটি দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ভার্চুয়াল জগতে। আর এখন ফেসবুকে এজের ফলোয়ার প্রায় ৩০ হাজার।
তবে এ অভিনব প্রতিভাকে একটি শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর বলে মনে করেন অনেকে। গ্গ্নেন অবশ্য এ ব্যাপারে বেশ সচেতন। ছেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মোটেও তাকে ক্লাব বা পার্টিতে ডিজে হতে দিতে রাজি নন তিনি। আর পেশা হিসেবে এজে ডিজেগিরিকেই বেছে নেবে কি-না, সেটাও নির্ভর করছে বড় হয়ে তার নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওপর।