এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভোরের কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে দেশ, গ্রাম, নগর, বন্দর। দুপুর বারোটার আগে রোদের মুখ দেখা যাচ্ছে না। একেবারে হাড়কাঁপুনে পর্যায়ে না পৌছালেও, শীত একেবারে কম নয়। দেশের কোথাও কোথাও চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
সারাদেশেই এটা ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, শৈত্যপ্রবহ কী? কেন হয় এটা?
বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চল ও শহরের মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য আছে। এমনকী সব গ্রামীণ অঞ্চলেও একই সময় শীত পড়ে না। সাধারণ নভেম্বর মাস থেকে এদেশের গ্রামাঞ্চলে মৃদু শীত পড়ে।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসজুড়ে শহরাঞ্চলেও শীত পড়ে। গ্রামাঞ্চলে মাঝ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত পড়ে। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে শুধু মঝরাতেই হালকা শীত থাকে। রাজধানীতে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই শীত বিদায় নেয়।
আমাদের দেশের শীতের বড় একটা কারণ উত্তরের হিমেল হাওয়া। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এই হাওয়া এসে বাংলাদেশে শীত নামায়। উত্তুরে হাওয়া এদেশে প্রবেশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে। ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই নিচে নেমে যায় এ সময়। এরই ফলে এদেশে শীত পড়ে।
শীত পড়া মানেই শৈত্যপ্রবাহ নয়। ক্রমাগত উত্তুরে বাতাস এদেশের তাপমাত্রা কমাতে থাকে। তাপমাত্রা কমে যখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, সেটাকে তখন শৈত্যপ্রবাহ বলে।
শৈত্যপ্রবাহের চারটি ধরন আছে —মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র। শীতকালে তাপমাত্রা কমে যখন ৮-১০ ডিগ্রির মধ্যে অবস্থানে করলে সেটাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা যখন ৬-৮ ডিগ্রিতে নামলে সেটাকে তখন মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলে। তাপমাত্রা যদি ৪-৬ ডিগ্রিতে নামলে সেটাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ! তাপমাত্রা যদি ৪ ডিগ্রির নিচে নেমে যায়, তাহলে সেটাকে বলে অতি শৈত্যপ্রবাহ।
তবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেই সেটাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা যাবে না, যদি না তিন দিন টানা স্থায়ী এই তাপমাত্রা। বাংলাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ শৈত্যপ্রবাহগুলো সাধারণ ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সূত্র: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর