এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ছোটবেলা থেকেই আমরা ভাতের সঙ্গে পরিচিত। দিনে দুই থেকে তিনবার ভাত খাওয়া হয় আমাদের। স্বাভাবিক জীবনে কম-বেশি ভাতই আমাদের প্রধান খাবার। কথাতেই রয়েছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। ভাত ছাড়া যেন চলেই না।
ভাত খাওয়া হলেও কেউ কেউ রুটিও পছন্দ করেন। ভাতের বিকল্প হিসেবে সুযোগ হলেই রুটি খেয়ে থাকেন তারা। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেকের মাঝে। কেউ কেউ ভাতের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে থাকেন।
আবার কেউ কেউ পছন্দের রুটির কথা বলেন। সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী। এবার তাহলে ভাত না রুটি খাওয়া ভালো, সেটি জেনে নেয়া যাক।
পুষ্টিগুণে ভরপুর ভাত: ভাত তো সবাই খেয়ে থাকেন। কিন্তু কারও কারও ভাবনা এমন, ভাত খেলে বোধহয় সুগার বেড়ে যায়। ওজন বাড়ারও চিন্তা থাকে। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। কারণ ভিটামিন বি, ফোলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, ফাইবার, জিঙ্ক ও আয়রন রয়েছে ভাতে। এ জন্য নিয়মিত ভাত খেলে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যায়।
রুটিও কম নয়: ভাতের মতো রুটিও কার্বতে ভরপুর। রুটি খেলে অনায়াসেই শক্তির ঘাটতি মেটানো যায়। রুটিতে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, আয়রন ও সোডিয়ামের মতো উপকারী উপাদান। এ জন্য কেউ চাইলে নিয়মিত রুটি খেতে পারেন। এতে সুগার, গোলেস্টেরল ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়।
ভাত না রুটি, কোনটি উপকারী: এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী বলেন, ভাত ও রুটিতে প্রায় সমান পরিমাণ ক্যালোরি। দুটিই কার্ব জাতীয় খাবার এবং এর পুষ্টিগুণও প্রায় সমান। এ জন্য রাতে পছন্দ অনুযায়ী ভাত বা রুটির মধ্যে যেকোনো একটি খেতে পারেন। তবে কোনোটিই অত্যধিক ভালো নয়। যাই খান না কেন, তা পরিমাণ মতো খেতে হবে।
ডায়াবেটিস থাকলেও ভাত খাওয়া যায়: অনেকেই মনে করেন রাতে ভাত খেলে ব্লাড সুগার হয়তো বেড়ে যায়। এ ধারণার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন কোয়েল পাল চৌধুরি। তার ভাষ্য―যেকোনো ডায়াবেটিস রোগী চাইলে রাতে ভাত খেতে পারেন। তবে এর আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরমার্শ নেয়া উচিত। বিশেষজ্ঞ আপনার ভাতের পরিমাণ জানাবেন। তবেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
গ্লুটে অ্যালার্জিতে রুটি নয়: অনেকের গ্লুটেন অ্যালার্জি রয়েছে। তারা রুটি খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা অনুভব করেন। এ ধরনের সমস্যা থাকলে রুটির পরিবর্তে ভাত খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। আবার আইবিএস’র মতো পেটের অসুখে আক্রান্তরা রুটির পরিবর্তে ভাত খেতে পারেন।