এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সম্পর্কের ভেতরে গোপনে গোপনে গড়ে উঠতে পারে অনেক সমস্যা। হয়তো আপনি তা শুরুতেই টের পাবেন না কিন্তু একটা সময় গিয়ে যখন বুঝতে পারবেন, ততক্ষণে দেরি হয়ে যাবে।
যেকোনো সমস্যা শুরুতেই সমাধান করা গেলে তা আর বাড়তে পারে না। কিন্তু ছোট ছোট অনেক সমস্যাও পরবর্তীতে এতটা বড় হয়ে যায় যে বিচ্ছেদ ছাড়া তখন আর কোনো সমাধান থাকে না।
তাই লক্ষণগুলো আগেভাগে জেনে নেওয়াই ভালো। এতে সমাধান করা বা সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রেকআপের ৭ লক্ষণ জেনে নিন-
১. যোগাযোগের অভাব
দু’জনের মধ্যে যদি যোগাযোগের অভাব হয় অর্থাৎ তার সঙ্গে আর মন খুলে কথা না বলতে পারেন, যদি দু’জনের মধ্যে আগের মতো কথা বলার টান না থাকে তাহলে এটি হতে পারে মানসিক দূরত্ব এবং সম্পর্কের সম্ভাব্য ভাঙ্গনের ইঙ্গিত। এরকমটা ঘটলে তার সঙ্গে মুখোমুখি বসার চেষ্টা করুন এবং আপনার উদ্বেগ সম্পর্কে তাকে জানান। লক্ষ্য করুন যে সে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। এতে আপনি অনেককিছুই বুঝতে পারবেন।
২. কোয়ালিটি টাইম না থাকা
সম্পর্ক সুন্দর রাখার জন্য কোয়ালিটি টাইম কাটানো জরুরি। যদি আপনাদের মধ্যে একসঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের স্মৃতি না-ই থাকে, তাহলে স্বপ্ন নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবেন কী করে? যদি এমনটা হয় তবে তা হতে পারে ব্রেকআপের পূর্ব লক্ষণ। একসঙ্গে সময় কাটানোর টান না থাকলে তা উভয়ের মধ্যে মানসিক বিচ্ছিন্নতা এবং দূরত্বের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
৩. মানসিক দূরত্ব
আপনার সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক দূরত্ব অনুভব করেন? আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে কি ঘনিষ্ঠতা, স্নেহ বা মানসিক সমর্থনের অভাব আছে? এটি আপনাদের দু’জনের মধ্যে দুর্বল বন্ধন প্রকাশ করে। একটি সুস্থ সম্পর্কের উন্নতির জন্য মানসিক ঘনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ।
৪. ঘন ঘন ঝগড়া
যে কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে মতবিরোধ অনিবার্য হলেও আপনি কীভাবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন এবং উপসংহারে আসেন তা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া বেড়ে যায়, যদি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বেশিরভাগ সময়েই একে অপরের সঙ্গে তর্ক করেন, তবে এটি সম্পর্কের মধ্যে লুকানো অসন্তোষ বা হতাশার লক্ষণ হতে পারে।
৫. গোপন করা
যদি এক বা উভয় অংশীদার তাদের কাজ, চিন্তাভাবনা বা অনুভূতি গোপন রাখেন তবে এটি সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস এবং স্বচ্ছতার অভাব প্রকাশ করে। আপনারাও কি এমনটা করছেন? এটি কিন্তু সম্পর্ককে ভাঙনের দিকে নিয়ে যায়। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাইলে এই স্বভাব থেকে বের হয়ে আসুন।
৬. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অভাব
বিয়ে বা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য- এই ধরনের কথোপকথন যদি আপনার সঙ্গী এড়িয়ে যান বা সেগুলো নিয়ে কথা বলতে দ্বিধা করেন, তখন এটি সম্পর্কের ভবিষ্যত সম্পর্কে তাদের অনিশ্চয়তা প্রকাশ করে। যদি একসঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাই না থাকে, তাহলে তার সঙ্গে কোথায় গিয়ে পৌঁছাবেন? একটা সময় থেমে যেতে হবেই।
৭. উদাসীনতা
উদাসীনতা বা একে অপরের জীবনের প্রতি আগ্রহের লক্ষণীয় অভাব মানসিক বিচ্ছিন্নতার ইঙ্গিত দিতে পারে। যদি আপনারা একে অপরের আনন্দ এবং সংগ্রামের প্রতি উদাসীন হন, তবে এটি একটি বিপদ সংকেত হতে পারে।