এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ‘যদি লাইগা যায়’। কিংবা ‘যদি ঘোরাতে চান ভাগ্যের চাকা’। রাস্তাঘাটে লটারির টিকিট বিক্রির সময় মাইকে এ ধরনের লোভনীয় কথা হরহামেশাই শোনা যায়।
লটারি কিনে পুরস্কার, অর্থ বা কোনো দামি কিছু জিতে নেয়ার স্বপ্ন দেখেন এমন মানুষ কম নয়। তবে খুব কম মানুষেরই ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে। বেশিরভাগেরই কপাল পোড়ে।
যাদের ভাগ্যের চাকা মোটেই ঘুরতে চায় না, তাদের ভাগ্য খোলার সহজতর বাতলে দিলেন দুই ব্রিটিশ গণিতবিদ। রীতিমতো অঙ্ক কষে লটারি জেতার সূত্র বের করেছেন তারা।
লটারি জেতার জন্য উপায় বের করেছেন যুক্তরাজ্যের দুই গণিতবিদ ডেভিড স্টেওয়ার্ট ও ডেভিড ক্রাশিং। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারা। কমপক্ষে কয়টি লটারি কিনলে জেতার নিশ্চয়তা থাকে সেটাই দেখিয়েছেন এই দুই গণিতবিদ।
তাদের দাবি, ২৭টি লটারির টিকিট কাটলেই পুরস্কার নিশ্চিত! সাড়ে চার কোটি সম্ভাবনার মধ্যে ২৭টি টিকিট কেটেই বাজিমাত করা সম্ভব। শুধুমাত্র সূত্র আবিষ্কার করেই ছেড়ে দেননি তারা। সূত্রের প্রয়োগ করেও দেখিয়েছেন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন মতে, তাদের আবিষ্কৃত সূত্রটি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বহু মানুষ এখন তাদের সূত্র মেনে লটারি কিনছে। তার ফলাফলও পাচ্ছে হাতেনাতে। নিজেদের সূত্রের এমন জনপ্রিয়তা দেখে বিস্মিত ওই দুই গণিতবিদ।
লটারি জেতার সূত্র বিষয়ে ওই দুই গণিতবিদ বলেছেন, ‘ইউকে ন্যাশনাল লটারিতে ৬টি নম্বর থাকে। ১ থেকে ৫৯-এর মধ্যে থাকে সেগুলো। এই সংখ্যার মধ্যেই ৬টি সংখ্যা বেছে নেয়া হয়। পুরস্কার পেতে ৬টি সংখ্যার মধ্যে ন্যূনতম ২টি সংখ্যা মিলতে হয়।’
‘আমরা দেখেছি ২৭টি টিকিট একটি পুরস্কারের নিশ্চয়তা দিতে পারে, সাড়ে চার কোটি সম্ভাবনার মধ্যে। কিন্তু ২৬টি টিকিটে এই নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয়। তবে নম্বরের মধ্যে কোন ২৭টিকে বেছে নিতে হবে, তার জন্য কৌশল রয়েছে। সেই বিশেষ কৌশল মেনে লটারির টিকিট কিনতে পারলেই ছিড়তে পারে ভাগ্যের শিকে।’
এর আগে রেনাটো গিয়েনেলা নামে ব্রাজিলের এক গণিতবিদও লটারি জেতার প্রায় একই ধরনের সূত্রের কথা বলেছেন। তার দাবি, লটারির ড্রতে কোন নম্বরটি উঠে আসবে, তা জটিল গণিত কষে এবং প্রোবাবিলিটি থিওরি বা সম্ভাব্যতার তত্ত্ব প্রয়োগ করে আগেভাগেই জানা সম্ভব।