সাগরের বুকে বিমানবন্দর!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সমুদ্র উপকূলে দেশটি বিমান অবতরণ কেন্দ্র বা রানওয়ে তৈরি করছে। ভূ-উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে নির্মাণাধীন ওই রানওয়েতে ভারী সামরিক সরঞ্জামসহ সামরিক বিমান ওঠা নামা করতে পারবে। বৃহস্পতিবার তোলা ওই ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে রানওয়ের পাশাপাশি জঙ্গি বিমান রাখা যায় এমন স্থাপনাও তৈরি করা হচ্ছে।
লম্বায় রানওয়েটি ১০ হাজার ফুট দীর্ঘ হবে। সাধারণত ৩ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে হলেই যে কোনো জঙ্গি বিমান ওঠানামা করতে পারে। কিন্তু এয়ারবাস বা ওই ধরনের ভারী ও বিশালকায় বিমানের জন্যে এত দীর্ঘ রানওয়ের প্রয়োজন পড়ে। চীন ওই স্থানে যে ধরনের রানওয়ে তৈরি করছে তাতে জঙ্গি বিমান ছাড়াও পর্যবেক্ষণ বিমান অনায়াসে ওঠানামা করতে পারবে সাগরের বুকে ওই বিমান বন্দরের রানওয়েতে।
দক্ষিণ চীন উপকূল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে বিরোধ রয়েছে চীনের তা এধরনের রানওয়ে নির্মাণের ফলে আরো জটিল হয়ে পড়বে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রোডি দ্বীপের ন্যাভাল ওয়ার কলেজের কৌশলগত স্টাডিজের অধ্যাপক পিটার ডুটন বলেছেন, ওই স্থানে চীনের এধরনের বিমান বন্দর নির্মাণ সামরিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তা যুদ্ধকালীন যে কোনো পরিস্থিতি পাল্টে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট।
ডুটন বলেন, এটা একটি প্রধান কৌশলগত দিক। কারণ আপনি সমুদ্রে নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে তার আগে আকাশকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। জেনস ডিফেন্স উইকলির প্রকাশিত এক ছবিতে দক্ষিণ চীন উপকূলে চীনের এধরনের বিমান অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের ছবি প্রথম প্রকাশ পায়। অধ্যাপক ডুটন আরো বলেন, ওই অঞ্চলে চীন এধরনের নির্মাণ কাজের মধ্যে দিয়ে রাডার ও মিসাইল বসিয়ে আশেপাশের ছোট দেশ ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের ওপর নজরদারি আরো বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে। চীন দক্ষিণ চীনের আশি ভাগ এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। -নিউইয়র্ক টাইমস