এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এখন চারপাশে হাড়কাঁপুনে ঠান্ডা, ঠিক দুপুরবেলাতেও গোসল করতে ভয় লাগে। অথচ এ সময় দেখা যায়, টিউবওয়লের পানি বেশ আরামদায়ক উষ্ণ।
পুকুর, নদী, খাল-বিল, শহরের ট্যাপকলের পানি ভয়ানক ঠান্ডা এ সময়। তাহলে টিউবওয়েলের পানি গরম থাকার রহস্য কী?
টিউবওয়েলের পানি থাকে মাটির অনেক গভীরে। বাতাসের সংস্পর্শ একেবারেই পায় না। অন্যদিকে পরিবেশের তাপমাত্রা অনেকটাই নির্ভর করে সূর্যের অবস্থানের ওপর।
শীতকালে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলো থেকে সূর্য অনেকটাই হেলে পড়ে দক্ষিণের দিকে। ফলে দিনের দৈর্ঘ্য যেমন কমে আসে, তেমনি সূর্যের তেজও এ সময় কম থাকে।
বাতাস কম উৎতপ্ত হয়। তারওপর হিমালয় থেকে বয়ে আসা উত্তুরে হিমেল হাওয়া পরিবেশের তাপমাত্রা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
যেকোনো বস্তু থেকে তাপ পরিবহন করে তুলনামূলক ঠান্ডা জায়গায় ছড়িয়ে দিতে বাতাসের জুড়ি নেই। তাই সহজেই খোলা জলাশয়, ট্যাঙ্কের পানি দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায় বায়ুপ্রবাহের কারণে।
অন্যদিকে ভূপৃষ্ঠের গভীরে থাকা পানির তাপমাত্রা সারা বছর মোটামুটি একই থাকে। বাতাসের সংস্পর্শ পায় না বলেই এমনটা হয়।
শীতকালে আসলে মাটির গভীরের পানি উষ্ণ হয় না। বরং পরিবেশের তাপমাত্রা অনেক কম থাকে বলে আমাদের শরীর ও হাতপাও তুলনামূলক ঠান্ডা হয়ে যায়। তাই টিউবওয়েলের স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিও আমাদের কাছে উষ্ণ মনে হয়।
দেখবেন দুপুরের চেয়ে সকাল কিংবা রাতে টিউবওয়েলের পানি বেশি গরম মনে হয়। কারণ দুপুরে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে, তাই টিউবওয়েলের পানি অতটা গরম মনে হয় না।
শীতকালে যেমন টিউবওয়েলের পানি গরম মনে হয়, গরমকালে ঠিক তার উল্টো মনে হয়। গরমকালে পরিবেশের তাপমাত্রা বেশি থাকে বলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রাও তুলনামূলক বেশি থাকে।
ওদিকে টিউবওয়েলেরে পানির তাপমাত্রা একই থাকে। শরীরের তাপমাত্রা বেশি বলে তখন টিউবওয়েলের পানি ঠান্ডা মনে হয়।