মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:৫৬:১৭

পিছনের দিকেও উড়তে পারবে এই বিমান

ক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আগে শোনা গেল জানালা বিহীন বিমানের কথা। আর এবার সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি আন্তোনভ এএন-২ বিমানটির কাঠামো এভাবেই তৈরি। যাত্রীদের আরাম-আয়েশের চেয়ে কত কম সময়ে এবং অল্প জায়গা ব্যবহার করে একটি বিমান টেকঅফ ও ল্যান্ড করতে পারে, তারই উৎকৃষ্ট প্রমাণ দেখালো সোভিয়েত। তবে বিমানটি কিন্তু মোটেও নতুন কোনো আবিষ্কার নয়।

৭০ বছর আগে তৈরি সেকেলে এ বিমানটি আবার আলোচনায় আসার কারণ, এ মাসের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত একটি খবর। তাদের দাবি, দেশটি আন্তোনভ এএন-২ বিমানকে নতুন এক ছদ্মবেশ কাঠামোর আওতায় এনে সামরিক বাহিনীতে ব্যবহার করবে। ওপরের দিকে সবুজ এবং নিচের দিকে নীল রঙ ব্যবহার করায় এটি প্রাকৃতিক পরিবেশে সহজে লুকিয়ে রাখা সম্ভব এবং প্রয়োজনে পিছনের দিকেও উড়তে পারবে। তাছাড়া বিমানটি এত নিচু দিয়ে উড়তে সক্ষম যে, রাডারে ধরা পড়ারও ঝুঁকি থাকে না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ১৯৪৭ সালে রাশিয়ায় এ বিমানটি এখন জাদুঘরে রাখার কথা। কিন্তু এই জেট প্লেনের আমলেও বিমানটি বহাল তবিয়তে টিকে আছে এর অবিশ্বাস্য ডিজাইনের কারণে। পাইলট চাইলেই বাইপ্লেনটিকে যেখান সেখান থেকে ওড়াতে যেমন পারেন, তেমনি পারেন বিনা নোটিশে যে কোনো দুর্গম জায়গায় অবতরণ করাতে। আর পেছনে ওড়ার কথা তো আগেই বলা হয়েছে।

সোভিয়েত বন মন্ত্রণালয় জঙ্গলের ফসল পরিষ্কার ও সেখানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানোর জন্য এমন একটি বিমান তৈরির পরিকল্পনা করে। ডিজাইনার ওলেগ আন্তোনভ তাদের চাহিদা অনুযায়ী এক ইঞ্জিনের বিশাল এ বাইপ্লেনটি তৈরি করেন। ১২ জন যাত্রী বহনে সক্ষম এএন-২-এর কার্গো ধারণক্ষমতা এক টন।

সঙ্গে ছিল পাথুরে, অমসৃণ এবং ঘাসের জমি থেকে টেক অফের সক্ষমতা। হেলিকপ্টারের মতো বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এ বিমানটির দেখভাল করাও বেশ সহজ। সোভিয়েত ইউনিয়নেই ১৯ হাজারটি এএন-২ তৈরি করা হয়। এরপর ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তৈরি হয় পোল্যান্ডে। আর চীন কয়েক হাজার পিস তৈরির লাইসেন্স নিয়ে রেখেছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে