এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : শীতে স্বাভাবিকভাবেই গোসল করতে প্রায় সবার কষ্ট হয়। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেকেই গোসল করতে অনীহা প্রকাশ করেন।
কেউ কেউ আবার হালকা গরম পানিতে দিনের আগ মুহূর্তে গোসল সেরে নেন। কিন্তু গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের লোমকূপের মুখ খুলে যায়। ফলে বাইরের ধুলাবালি, ময়লা সহজেই লোমকূপে প্রবেশ করে।শীতে প্রতিদিন গোসল করা ভালো না ক্ষতি, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কিছু নিয়ম মেনে সকালে গোসল করলে ত্বকের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পড়বে না। এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি প্রবেদন প্রকাশ করেছে। এবার তাহলে শীতে সকালের দিকে গোসল সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
গরম পানি: কাজ বা কোনো প্রয়োজনে প্রতিদিনই বাসা-বাড়ির বাইরে যেতে হয়। এ জন্য সকালে গোসল করা আমাদের রুটিনের মধ্যে পড়ে। ফলে শীতের সকালে হালকা গরম পানিতে গোসলা করা হয়।
গরম পানি ব্যবহারে ত্বকের স্বাভাবিক তেল নিঃসরণ বন্ধ হয় এবং ত্বক শুষ্ক হয়। এ জন্য সকালে গোসলের পানিতে হালকা রম পানি নিতে পারেন। এতে যেমন শীত কম অনুভব হবে, একই সঙ্গে ত্বকেরও ক্ষতি হবে না।
সাবান কম ব্যবহার: শীতে যেহেতু আপনাকে গোসল করতেই হয়, এ জন্য সাবান যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করবেন। কারণ, সাবানে থাকা ক্ষারের জন্য ত্বক রুক্ষ হয় বেশি। তবে চাইলে মাইল্ড সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
ভেজা পরিষ্কারক ব্যবহার না করা: গোসলের সময় শরীর পরিষ্কারের জন্য মাজুনি ব্যবহার করা হয়। মাজুনি যদি ভেজা অবস্থায় তাকে, তাতে ব্যাকটেরিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় ভেজা মাজুনি ব্যবহারে শরীরে জীবাণু প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। তাই ভেজা মাজুনি এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
দীর্ঘ সময় গোসল নয়: সকালে দীর্ঘ সময় নিয়ে গোসল করা যাবে না। এতে যেমন শরীরের স্বাভাবিক তেল নিঃসরণ বন্ধ হয়, একই সঙ্গে ত্বক শুষ্ক হয়। পানিশূন্যতায় ভোগে ত্বক। আবার সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।