এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এটি কোনো সিনেমার গল্প নয়, সত্যিই এমন গ্রাম আছে প্রতিবেশী দেশ ভারতেই। যে গ্রামে কোনো নারী নেই, যারা বসবাস করেন সবাই পুরুষ।
মিশরে আল-সামাহা নামক গ্রামে কোনো পুরুষ নেই। সেখানে এখন ৩০৩ জন নারী বাস করছেন। ওই গ্রামে পুরুষ প্রবেশ নিষেধ।
অন্যদিকে বিহারের কাইমুর পাহাড়ের অনেকটা উপরের দিকে বারওয়ান কালা নামে একটি গ্রাম রয়েছে। এ গ্রামে শুধু পুরুষদেরই বাস। পুরো গ্রামে শুধু পুরুষররাই থাকেন। এই গ্রামে নেই কোনো নারী। এই গ্রামের পুরুষেরা কখনো বিয়েও করেন না। চিরকুমার থাকেন।
তবে বারওয়ান কালা গ্রামের পুরুষেরা যে বিয়ে করতে চান না, তা নয়। আসলে কোনো নারী এই গ্রামের পুরুষদের বিয়ে করতে চান না।
গত ৫০ বছরে কোনো নারী এই গ্রামের কোনো পুরুষকে বিয়ে করতে রাজি হননি। ফলে এ গ্রামের পুরুষরা অবিবাহিতই থেকে যান।
কিন্তু কেন কোনো নারী এ গ্রামের পুরুষদের বিয়ে করতে চান না? আসলে, বিহারের কাইমুর পাহাড়ের অনেকটা উপরের দিকে বারওয়ান কালা গ্রাম। পাহাড়ে চড়াই পথে পাথর কেটে, জঙ্গল কেটে কোনোক্রমে যাতায়াতের একটি পথ বানিয়ে নিয়েছেন গ্রামবাসীরাই।
সেই পথ ধরেই যাতায়াত করতে হয় এই প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানে বসবাসের ন্যূনতম পরিকাঠামোরও অভাব রয়েছে। পুরুষেরা কোনোক্রমে যদি বা থেকে যান, নারীদের পক্ষে এই গ্রামে থাকা এককথায় অসম্বব।
তাই কোনো নারী বা তার পরিবার এই গ্রামের কোনো পুরুষের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান না। তাই এ গ্রাম বিয়ে হয় না। এর মধ্যে একটি ব্যতিক্রম আছে। ২০১৭ সালে এ গ্রামের এক যুবক বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামে এসেছিলেন।
এ গ্রামের গল্পটা বলিউডের সেই সিনেমার মতোই। যেখানে মেয়ে সন্তান হলেই মেরে ফেলা হতো। এক সময় দেখা যায় গ্রামে কোনো মেয়েই নেই। এরপর লুকিয়ে বড় হওয়া এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় পাঁচ ভাইয়ের। তারপর নানান ঘটনায় মোড় নেয় ছবি কাহিনি। সূত্র: নিউজ ১৮