এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি দেশের অনেক রাজ্যেও ব্যাপক হারে বাড়ছে কড়কনাথ মুরগির চাষ। এর ব্যবসা থেকে আয়ের একটা ধারণা পাওয়া যায় যে, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলো সময়মতো কড়কনাথ মুরগি সরবরাহ করতে পারছে না।
কাড়কনাথ মুরগির উৎপত্তি মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলায়, তাই মধ্যপ্রদেশের কাড়কনাথ মুরগিও জিআই ট্যাগ পেয়েছে। এই ট্যাগ মানে কড়কনাথ মুরগির মতো আর কোনো মোরগ নেই। কড়কনাথ মুরগির গায়ের রং কালো, মাংস কালো এবং রক্তও কালো।
ঔষধি গুণের কারণে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই মুরগির মাংসে সবচেয়ে বেশি আয়রন ও প্রোটিন পাওয়া যায়। এর মাংসে চর্বি ও কোলেস্টেরলও থাকে। এই কারণে হার্ট ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই মুরগি খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
এর মাংস নিয়মিত আহার করলে শরীরে প্রচুর পুষ্টি পায়। এর চাহিদা এবং সুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে, সরকারও এর ব্যবসা শুরু করতে প্রতিটি স্তরে সহায়তা করে। কড়কনাথ মুরগি পালনের প্রয়োজনীয়তা বুঝে মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় সরকার এটিকে প্রচার করার জন্য অনেক পরিকল্পনা চালাচ্ছে।
ছত্তিশগড়ে, মাত্র ৫৩০০০ টাকা তাও তিন কিস্তিতে জমা দিলে সরকার থেকে ১০০০টি ছানা, ৩০টি মুরগির শেড এবং ছয় মাসের জন্য বিনামূল্যে ফিড দেয়। একই সঙ্গে টিকা ও স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্বও সরকার বহন করে। শুধু তাই নয়, মুরগি বড় হলে বাজারজাতকরণের কাজও করে সরকার।
আপনিও যদি কাড়কনাথ মুরগি পালনের ব্যবসা করতে চান, তাহলে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে মুরগি নিতে পারেন।কিছু খামার ১৫ দিন বয়সী ছানা নেন, আবার কেউ কেউ এক দিন বয়সী ছানা নেন।
কড়কনাথের ছানা সাড়ে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। জানিয়ে রাখি, কড়কনাথ মুরগির এক একটি ছানার দাম ৭০-১০০ টাকা। এর একটি ডিমের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা। তার মানে আপনার বাজেটও এই ব্যবসাকে না বলবে না।