এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : তবে জানেন কি পৃথিবীতে এমন কয়েকটি জায়গায় রয়েছে যেখানে সাধারন মানুষের যাওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে এই সকল জায়গাগুলিতে একবার প্রবেশ করলে জীবিত হয়ে ফিরে আসা খুবই মুশকিল।
উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ, ভারত :
আন্দামানের অজস্র দ্বীপ গুলির মধ্যে নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপটি ঘিরে নানান রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। এই দ্বীপটিতে বসবাস করেন উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ, যারা বহির্বিশ্বের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সেখানে কোনো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। তবে কোনো ভ্রমণপিপাসু ব্যক্তি এই অঞ্চলে প্রবেশ করলে তার ফিরে আসা খুবই কঠিন। সেই কারণেই ভারত সরকার এই অঞ্চলটিকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
ইজে গ্রান্ড শ্রিন, জাপান :
জাপানে শ্রিন প্রথা খুবই পরিচিত। এই মন্দিরটি সম্পর্কে খুব একটা বেশি জানা যায়নি। তবে ইজে গ্রান্ড শ্রিনে রাজ পরিবারের ৮ হাজার জন সদস্য বাস করেন। প্রায় ২০ বছর অন্তর মন্দিরটি নির্মাণ করা হয় এবং অতি যত্ন সহকারে রক্ষণাবেক্ষণের কাজও হয়। তবে এই মন্দিরে সাধারণ মানুষের প্রবেশের অনুমতি নেই – এই প্রশ্নের উত্তর আজও কেউ জানে না।
স্নেক আইল্যান্ড, ব্রাজিল :
বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দ্বীপ গুলির মধ্যে ব্রাজিলের স্নেক আইল্যান্ড অন্যতম। পৃথিবীতে প্রায় সব রকমের বিষধর প্রজাতির সাপের বাস এই দ্বীপটিতে। ব্রাজিল সরকারের তরফে এখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ আইনত ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
টম্ব অব কিন শি হুয়াং, চীন :
চীন দেশের প্রথম সম্রাট ছিলেন কিন শি হুয়াং, যার মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২০০০ বছরেরও আগে। তবে তাকে যেখানে সমাধিস্থ করা হয়েছিল সেই জায়গাটি এত বছর পরেও অনাবিষ্কৃত রয়েছে। চিনা সরকারের তরফে এখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ। আসলে এখানে কি রয়েছে তা সত্যিই একটি রহস্য।
নিনিহাউ আইল্যান্ড, আমেরিকা :
আমেরিকার এই রহস্যময় দ্বীপটিতে প্রায় ১৫০ জন মানুষ বসবাস করেন। এখানে কেবলমাত্র মার্কিন সেনা কর্মী বা তাদের আত্মীয় পরিজনদেরই প্রবেশের অধিকার রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য ওই দ্বীপটি পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা এই পরিবেশকে রক্ষণাবেক্ষণ করে এবং কখনোই দূষিত হতে দেয় না।