এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : অতীতে কবুতর পায়রাকে চিঠিপত্র আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হতো। এর পাশাপাশি তাদের গুপ্তচরবৃত্তিতেও ব্যবহার করা হয়েছিল।
জানা গেছে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় কবুতর পাখিরগুলোর সাথে ছোট ক্যামেরা লাগিয়ে শত্রু অঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হত। পাখিরা শত্রু অঞ্চলে উড়ে যাওয়ার সময় সেগুলো ক্লিক করত।
আসলে কবুতর পাখিগুলির রাস্তা চেনার ক্ষমতা অন্যান্য পাখিদের তুলনায় অনেক ভালো ছিল এবং তারা সঠিক জায়গায় বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বেশিরভাগ সফল হতো। এই পদ্ধতির সাফল্যের হার হল ৯৫ শতাংশ এবং ১৯৫০ সাল পর্যন্ত তাদের গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা অব্যাহত ছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে চের আমি নামে একটি কবুতর খুব বিখ্যাত হয়েছিল। তার শেষ মিশন ছিল ১৪ অক্টোবর ১৯১৮ সাল, যেখানে তিনি জার্মানদের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধে ফরাসি বেষ্টিত ব্যাটালিয়নের ১৯৪ জন সৈন্যকে উদ্ধার করতে সহায়তা করেছিল।
শত্রুর গুলিতে চের আমি পায়ে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়, কিন্তু আহত পায়েই ঝুলে থাকা বার্তা নিয়ে সে তার ঘাঁটিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। চের আমি তার মিশনের সময় আঘাতের কারণে মারা যায়। চের আমির সাহসিকতার জন্য ফরাসি সরকার তাকে করুইক্স ডি গুয়েরে দিয়ে ভূষিত করে। এটি যে কোনো সাহসী বীরকে দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কার।
কবুতর ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীও গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা শুরু করেছে। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় অনেক দেশ তাদের গুপ্তচরবৃত্তির প্রোগ্রামে অনেক প্রাণীকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছিল। তাদের মধ্যে একটি ডলফিন ছিল, যা ১৯৬০ সাল থেকে সাবমেরিন এবং জলের নিচে মাইন সনাক্ত করার জন্য মার্কিন নৌবাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।