এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আজ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন। আপনি যাকে ভালোবাসেন, তার স্পর্শও আপনার জন্য উপকারী, তা জানেন কি?
উদ্বেগ কমানো থেকে শুরু করে আত্মিক সংযোগ তৈরি করা- একটি আলিঙ্গন থেকে হতে পারে অনেক কিছু। অনেক আবেগ, অনেক না বলার কথার বিকল্প হতে পারে একটি মাত্র আলিঙ্গন।
কাউকে আলিঙ্গন করা কেবল স্বাচ্ছন্দ্যই দেয় না বরং বিশ্বাসও তৈরি করে। একটি উষ্ণ আলিঙ্গন আপনাকে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত বোধ করাতে পারে, বন্ধন উন্নত করতে পারে এবং আপনার সুখের ভাগও বাড়াতে পারে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলো আলিঙ্গনের অনেক সুবিধারও প্রমাণ দেয়। এটি শুধুমাত্র কর্টিসল, স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমায় না বরং ব্যথা উপশম করে এবং পেশী শিথিল করে। এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মিনাক্ষী মানচন্দ জানিয়েছেন আলিঙ্গনের ৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে
স্ট্রেস কমায়
আলিঙ্গন করটিসলের মাত্রা হ্রাস করে, এটি হলো স্ট্রেস হরমোন। করটিসলের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে চাপযুক্ত পরিস্থিতিতে রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন হ্রাস করে। আলিঙ্গন করলে তা রাতে ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করে। তাই প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করুন। এটি দুজনের জন্যই ইতিবাচক।
সুখি ও শান্ত করে
আলিঙ্গন মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন বা ইতিবাচক অনুভূতির রাসায়নিকের মাত্রা বাড়ায় যা আমাদের সুখি, সক্রিয় এবং শান্ত করে। ফলে সুখি হতে চাইলে আলিঙ্গন করুন। কারণে-অকারণে জড়িয়ে ধরুন প্রিয় মানুষকে।
সহজ সংযোগ
আপনি হয়তো অনেক কথা বলতে চেয়েও বলতে পারছেন না। আপনাকে এক্ষেত্রে সাহায্য করবে আলিঙ্গন। ভালোবাসার তীব্রতা সব সময় মুখে বলে বোঝানো যায় না। অনেক সময় আপনার একটি শক্ত আলিঙ্গন এটি প্রকাশ করতে পারে। আলিঙ্গন করলে তা প্রিয়জনের সঙ্গে সংযোগ করা সহজ করে তোলে।
একাকিত্ব দূর করে
কাছের মানুষদের থেকে যত দূরে সরে যাবেন, নিজেকে তত বেশি একা ও নিঃসঙ্গ লাগবে। আলিঙ্গন মনে করিয়ে দেয় যে আমরা নিরাপদ, অন্যের কাছে প্রিয় এবং একা নই। তাই একাকিত্ব দূর করতে আলিঙ্গনের অভ্যাস করুন।
ব্যথা দূর করে
শুধু মনের ব্যথা নয়, শরীরের ব্যথাও দূর করে আলিঙ্গন। এটি আপনার শরীরের ব্যথার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি করে। যে কারণ শরীরের উত্তেজনা হ্রাস হয়, যা উত্তেজনাপূর্ণ পেশীগুলোকে শিথিল করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
আলিঙ্গন করলে প্রাকৃতিক ঘাতক কোষ, লিম্ফোসাইট এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী কোষের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখে।