এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: রিক্সা চালিয়েও কি কোটিপতি হওয়া যায়? শুধু কোটিপতি নয়, বরং ৩৪টি কোম্পানির মালিক তিনি। শিরোনাম দেখে নিশ্চয় আপনার চোখ কপালে উঠে গেছে। ভাবছেন আপনি নিজে এতো কিছু করেও লাখোপতি হতে পারছেন না, আর সামান্য এক রিক্সাচালক ৩৪টি কোম্পানির ডিরেক্টর!
তাহলে মূল ঘটনাটি পড়ুন।
ভারতের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের প্রভাসনগরের বাসিন্দা রিক্সাচালক কৃষ্ণ প্রসাদ। তার চাহিদা খুবই সামান্য। একটা রিক্সা কিনে চালাবেন। কিন্তু তার জন্য যে পাহাড় ডিঙোতে হবে কৃষ্ণ প্রসাদ তা কখনোই ভাবেননি। রিক্সা কিনতে গেলে প্রয়োজন পড়ে ঋণের। আর ঋণের জন্য প্রয়োজন ছিল এমন যোগ্যতার যা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি।
নিজের নামে ঋণ নেওয়ার জন্য তাঁকে নাকি কোনও একটি কোম্পানির ডিরেক্টর হতে হবে। তাও আবার একটা দু’টো নয়, চৌত্রিশটি কোম্পানির। শর্ত শুনেই চোখ কপালে উঠেছিল কৃষ্ণ প্রসাদের। তাই অন্যের রিক্সা ভাড়া নিয়ে চালান কৃষ্ণা। একটা সময় পর ভেবেছিলেন নিজেই কিনবেন রিক্সা।
আলাপ হয় এলাকার বাসিন্দা পবন মণ্ডলের সঙ্গে। পবনই আশ্বাস দেয় প্যান কার্ড থাকলেই লোনের ব্যবস্থা করে দিতে পারে সে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে একাধিক কাগজে সইও করায় পবন। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছিল না কিছুই। একদিন হঠাৎ-ই কৃষ্ণ প্রসাদের কাছে আসে বেশ কয়েকটি কোম্পানির চিঠি। চিঠিতে লেখা আছে তিনি দেনা করেছেন বেশ কয়েক কোটি টাকা। অবিলম্বে তাঁকে শোধ করতে হবে।
২৯ জানুয়ারি সরকারি দফতর থেকে এসে পৌঁছল আরও এক চিঠি। সেই চিঠির মানে প্রতিবেশীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে জানলেন তিনি ৩৪টি কোম্পানির ডিরেক্টর। সরকারি আইন অনুযায়ী তিনি এতগুলো কোম্পানির ডিরেক্টর থাকতে পারেন না। এর পরেই তিনি দ্বারস্থ হন প্রশাসনের।
রিক্সা কেনার লোন এখনও পাননি কৃষ্ণ প্রসাদ। এখনও অপরের রিক্সা চালান। তৎপর হয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে পবন মণ্ডলকে।
সূত্র: এবেলা
১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জেএম/আরএম