এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সকালের নাস্তায় সেদ্ধ ডিম। রাতে বাড়ি ফিরে ডিম ভাজা। বাড়িতে প্রতিদিন দু-চারটি করে ডিম খাওয়া হয়েই যায়। সেই ডিমের খোসা আবার অনেকেই জমিয়ে রাখেন।
গাছের ক্যালশিয়াম-সমৃদ্ধ সার হিসেবে ডিমের খোসা বেশ কাজের। আবার ডিম জিনিসটা টিকটিকিদের বড়ই অপছন্দের। তাই ঘরের এক কোনা থেকে ডিমের খোসা উঁকি মারতে দেখা যায় অনেক বাড়িতেই। তবে ডিমের খোসা দিয়ে কিন্তু আরও অনেক কিছু করা যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না।
ডিমের খোসা দিয়ে আর কী কী করা যায়?
পাখির খাবার
সেদ্ধ ডিমের খোসা ফেলে না দিয়ে বাগানের এক কোণে জমা করে রাখুন। একসঙ্গে অনেকটা খোসা জমলে সেগুলো ভালো করে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। বাড়ির পোষা পাখি এবং গাছের ক্যালশিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার হতে পারে ডিমের খোসা।
অস্থিসন্ধির ব্যথায়
কাচের একটি পাত্রে অ্যাপল সিডার ভিনেগার এবং ডিমের খোসা একসঙ্গে ভিজিয়ে রাখুন। দু-তিন দিন পর ডিমের খোসাগুলো ভিনেগারে সম্পূর্ণ দ্রবীভূত হয়ে যাবে। পা মচকে গেলে বা অস্থিসন্ধির ব্যথায় তৎক্ষণাৎ আরাম দিতে পারে এই মিশ্রণ।
মেঝে পরিষ্কার করতে
পাথরের মেঝে পালিশ করতে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেই রাসায়নিক থেকে অনেকেরই সাইনাস, অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি, ত্বকে নানা ধরনের র্যাশ বেরোতে দেখা যায়। সেই কাজ কিন্তু খুব ভালোভাবে করে দিতে পারে ডিমের খোসা। মেঝের ওপর ডিমের খোসার গুঁড়া ছড়িয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই মেঝে একেবারে ঝকঝকে হয়ে উঠবে।