এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সামনে পরীক্ষা, কিন্তু কিছুতেই পড়ালেখায় মন নেই আপনার সন্তানের! ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করাতে ‘ব্যর্থ অভিভাবক’ হিসেবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ছোট বাচ্চাদের শিক্ষার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা খুবই চ্যালেঞ্জিং কাজ। পরীক্ষা ঘনিয়ে এলে যে কোনো অভিভাবকের চাপে পড়া স্বাভাবিক।
আপনার সন্তানও যদি পড়াশুনা এড়িয়ে চলে এবং পড়াশোনার সময় অজুহাত দেখাতে শুরু করে, তাহলে কিছু টিপস আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে আপনি কিছু সময়ের মধ্যে আপনার সন্তানের মধ্যে পার্থক্য দেখতে সক্ষম হবেন।
সন্তানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন
আপনার সন্তান যদি অল্প সময়ের জন্যও পড়াশোনা করতে বসে তবে তার প্রশংসা করুন। তাকে বুঝতে দিন যে তার পড়া সবাইকে খুব খুশি করে। তার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে আন্তরিকভাবে প্রশংসা করুন। তাকে বকাবকি না করে, তাকে বুঝিয়ে তার হোম ওয়ার্ক করতে সাহায্য করুন।
যোগব্যায়াম এবং ব্যায়াম
বেশিরভাগ শিশু পড়াশোনার সময় মনোযোগ দেয় না। শিশুর একাগ্রতা বাড়াতে তাকে নিয়মিত ব্যায়াম করান এবং যোগব্যায়াম শেখান। এটি তাকে পড়াশোনার সময় তার একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
অন্য শিশুদের সঙ্গে তুলনা করবেন না
অনেক বাবা-মায়েরই তাদের শিশুদের অন্যের শিশুদের সঙ্গে তুলনা করার অভ্যাস থাকে। এটি শিশুকে বিষণ্ণ করে তুলতে পারে। এর পাশাপাশি তাদের মধ্যে উত্তেজনাও তৈরি হতে পারে। তাই শিশুদের সামনে এ ধরনের ভুল করা থেকে বিরত থাকুন।
মারধর করে শেখাবেন না
বেশিরভাগ বাড়িতেই শিশুকে শেখানোর জন্য মারধর করা হয়। মারধরের ভয়ে শিশুটি পড়ালেখা করতে বসে, কিন্তু তাতে তার আগ্রহ হয় না এবং সে কিছুই শেখে না। মারধরের কারণে অনেক শিশু সম্পূর্ণভাবে পড়াশোনার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলে। শিশুরাও জেদি হতে পারে, সেজন্য শিশুকে মারধর করে শেখাতে বাধ্য না করে শেখার পরিবেশ তৈরি করুন।
তাদের অন্য শিশুদের সঙ্গে পড়াশুনা করান
অনেক শিশু একা পড়াশুনা করতে পছন্দ করে না, কিন্তু যদি তাদের ভাই বা বন্ধু তাদের সঙ্গে পড়াশোনা করে, তবে তারা মন দিয়ে পড়াশোনা করে। তারা তাদের ভাইবোন বা বন্ধুদের কাছ থেকে আরও শেখার ইচ্ছা তৈরি করে। এ কারণে তারা পড়াশোনায় আগ্রহী হতে শুরু করে।