এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দৈনন্দিন জীবনের তাড়াহুড়োতে আমাদের মন বেশিরভাগ সময়েই আগের দিনের চাপ, উদ্বেগ এবং অসমাপ্ত কাজের বোঝা বয়ে বেড়ায়। তবুও মনকে ডিটক্সিফাই করার জন্য প্রতিদিন সকালে কিছু মুহূর্ত ব্যয় করা উচিত।
এতে নতুন দিনটি সুন্দরভাবে শুরু করা যায়। পুরো দিনই কাজে ছন্দ পাওয়া যায়। এই সহজ কিন্তু শক্তিশালী অনুশীলনগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।
এগুলো মানসিক স্বচ্ছতা, গভীর মনোযোগ এবং মন শান্ত করার পথ প্রশস্ত করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন সকালে কোন ৫টি কাজ করবেন-
১. নিঃশ্বাসের ব্যায়াম
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম দিয়ে দিন শুরু করুন। এটি আপনার নিজের সঙ্গে সংযোগ করার একটি শক্তিশালী উপায়। একটি শান্ত স্থানে আরামে বসুন এবং আপনার শ্বাসের দিকে মনোযোগ দিন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, অক্সিজেন আপনার ফুসফুস গভীরভাবে পূরণ করুন এবং আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়ুন। এই অভ্যাস মনকে শান্ত করে, স্ট্রেস হরমোন কমায় এবং শরীরকে অক্সিজেন যোগায়। পুরো দিনটি সুন্দর করতে এই অভ্যাস গুড়ে তুলুন।
২. সকালের ব্যায়াম
আপনার সকালের রুটিনে ব্যায়াম যোগ করুন। এটি আপনার মানসিক অবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। সংক্ষিপ্ত সকালের ওয়ার্কআউট, যোগব্যায়াম সেশন বা দ্রুত হাঁটা কেবল শরীরকে শক্তি দেয় না, মনকেও উদ্দীপিত করে। ব্যায়াম এন্ডোরফিন রিলিজ করে মেজাজ ভালো রাখে। এটি মনোযোগও বাড়ায়। ফলে পুরো দিন আপনি কর্মক্ষমত থাকতে পারেন।
৩. প্রার্থনা ও ধ্যান
ধর্মীয় প্রার্থনা আপনার মনকে কলুষতা মুক্ত করতে পারবে। সেইসঙ্গে প্রার্থনা দিয়ে দিনের শুরুটা হলে তা আপনাকে সারাদিন মানসিক প্রশান্তি দেবে। এছাড়া কিছু সময় মেডিটেশন বা ধ্যানের জন্য ব্যয় করতে পারেন। সেজন্য একটি আরামদায়ক জায়গা বেছে নিন। চোখ বন্ধ করুন এবং শান্ত থাকুন। মেডিটেশন মননশীলতা বাড়ায়, চাপ কমায় এবং মানসিক স্বচ্ছতাকে উন্নীত করে। এই অভ্যাস আপনার দিনটি সুন্দর করবে।
৪. ডিজিটাল ডিটক্স
ঘুম থেকে উঠার সঙ্গে সঙ্গে ইমেইল বা সোশ্যাল মিডিয়া চেক করার প্রলোভন এড়িয়ে চলুন। ডিজিটাল স্ক্রিনে থাকা তথ্য আপনার মনকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এর পরিবর্তে আপনার দিনটি এমন ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে শুরু করুন যেগুলোর সঙ্গে স্ক্রিন জড়িত নয়। বই পড়া, সকালের নাস্তা উপভোগ করা বা সৃজনশীল শখের কাজ দিয়ে দিনটি শুরু করতে পারেন।
৫. কৃতজ্ঞতা জার্নালিং
আপনি যে জিনিসগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ তা লিখে রাখার জন্য প্রতিদিন সকালের কয়েক মুহূর্ত ব্যয় করুন। আপনার জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোকে স্বীকার করার কাজটি আপনাকে আরও পরিণত করবে। প্রাপ্তির দিকে মনোযোগ দিলে আপনার চিন্তাভাবনাগুলো উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তা থেকে দূরে সরে যাবে। আপনি আরও আশাবাদী এবং কর্মক্ষম থাকবেন।