এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সাধারণত ডিসকভারি চ্যানেলে দেখা যায়, কাঠের নৌকা তৈরি করে নারিকেলের পাটার ডাটা দিয়ে সাগর পাড়ি দিতে। কিন্তু সেটা একটি টিভি অনুষ্ঠান হলেও সেখানে উপস্থাপককে প্রায় বলতে শোনায় যায়, কোনো কিছুই ফেলা যায় না! সেই কথাই আক্ষরিক অর্থেই বাস্তবে পরিণত করলেন হ্যামিলটন। মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে তিনি বেছে নিলেন সাগরবক্ষকেই।
না কোনো বিলাসবহুল জাহাজ বা না কোন ভাসমান বাড়িও নয়। মানুষের ফেলে দেয়া জঞ্জাল দিয়েই সাগরের বুকে বাড়ি বানিয়ে এখন বাস করছেন বছর তিরিশের যুবক হ্যামিলটন। সারা জীবন ওই বাড়িতে থাকবেন বলেও মনস্থির করেছেন তিনি।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরোতে বাড়ি কেনার সাধ্য তার নেই। তাই বসবাসের জন্য রাজধানী সংলগ্ন গুয়ানাবারা বে'র বুকেই আস্তানা গড়েছেন ব্রাজিলীয় যুবক হ্যামিলটন কুনহা ফিলহো। বাড়ি তৈরির সামগ্রী আবর্জনা।
আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেয়া বিভিন্ন প্লাস্টিক, কাঠের টুকরো, বোর্ড ইত্যাদি দিয়েই ভাসমান ঘর তৈরি করেছেন হ্যামিল্টন। সকাল বিকেল মাছ ধরেন আর পেটে পুড়েন।
হ্যামিল্টনের এই জঞ্জালের বাড়িও এখন রিও ডি জেনেইরোর পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণের বিষয় হয়ে উঠেছে। আর তা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সমুদ্র বিলাসের আশা পর্যটকরা।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/