এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছোট বড় অসংখ্য নদী। যেগুলোর সৌন্দর্য মানুষকে বিমোহিত করে। তবে, বিপজ্জনক এসব নদীতে একবার কোনো প্রাণী বা মানুষ গেলে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে রেখেছে সমগ্র বিশ্বজুড়ে। মানব সভ্যতার সঙ্গে নদীর রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। সর্পিল গতিতে নিরন্তর প্রবাহমান এই জলধারা দেখলেই মন ভরে যায়।
অথচ এই নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের মধ্যেও কত বিভীষিকা লুকিয়ে আছে, তা আমাদের অজানা! আপন বেগে বেয়ে চলা নদীও কখনও কখনও মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে অপেক্ষা করে!
আজ তেমনই কয়েকটি নদীর কথা জানাবো, যে নদীগুলো বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নদীর তকমা পেয়েছে। ভয়ঙ্কর তকমা পাওয়া নদীর মধ্যে প্রথমেই আসে পেরুর শানায়-টিমপিশকা নদীর নাম।
পৃথিবীর একমাত্র ফুটন্ত নদী হিসেবে পরিচিত এ নদীটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ছয় কিলোমিটার। লা বাম্বা নামেও পরিচিত এ নদীর পানি এতটাই গরম যে, এই নদীতে পড়ে গেলে কোনও মানুষ বা প্রাণীর পক্ষে বেঁচে ফেরা সম্ভব নয়। এর পানির উষ্ণতা প্রায় ৪৫ থেকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে।
অত্যাধিক উষ্ণতার কারণে এ নদীর পানি ফুটন্ত পানির মতো গরম। এরপরই নাম আসে প্রাকৃতিক মরণফাঁদ খ্যাত ব্রিটেনের ওয়ার্ফে নদীর। দেখতে যতটাই সুন্দর, ঠিক ততটাই বিপজ্জনক এ নদী। ৬৫ মাইল দীর্ঘ এই নদীর বিশেষ একটি অঞ্চল বলটন স্ট্রিডে জলধারার গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।
এছাড়া এ নদীর পানি এতটাই ঠান্ডা যে, সাঁতার কেটে এ নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যপার। এছাড়াও, এই নদীর তলদেশে রয়েছে অসংখ্য সুড়ঙ্গ। নদীতে নামলে সেসব সুড়ঙ্গে তলিয়ে যায় মানুষ। নীল নদ বিপজ্জনক হিসেবে মিশরের নীল নদেরও যথেষ্ঠ দুর্নাম রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ নদীটি আফ্রিকার মোট ১১টি দেশের উপর দিয়ে বয়ে গেছে।
এই নদীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কুমির ও বিষাক্ত সাপসহ একাধিক শিকারি প্রাণী। যার আক্রমণে প্রতি বছর গড়ে অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়। রিও টিন্টো এদিকে, স্পেনের রিও টিন্টো নদী দেখলে এমনিতেই যে কেউ ভয় পেয়ে যাবেন। এর পানির রং রক্তের মতো লাল। কারণ, আশপাশের তামা, রুপা এবং স্বর্ণের খনি থেকে নির্গত বিভিন্ন ধাতুর বর্জ্য মিশে এই নদীর পানিতে।
উচ্চমাত্রার এসিডিটি থাকায় এ নদীর পানিতে নামলে, কোনো প্রাণীই বাঁচতে পারে না। আমাজন নদী অন্যদিকে, মোট ছয়টি দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী আমাজন। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। প্রবল জলরাশির মাঝে রহস্য লুকিয়ে রাখা আমাজন নদীতে রয়েছে ইলেক্ট্রিক ইল, মানুষখেকো পিরানহা, বিষাক্ত ব্যাঙ এবং সবুজ অ্যানাকোন্ডার মতো ভয়ঙ্কর সব প্রাণী। তাই ভয়ঙ্কর এ নদীতে নামলে কোনও মানুষের পক্ষেই বেঁচে ফেরা সম্ভব নয়।