নিউজ ডেস্ক: এবার নরেন্দ্র মোদীর সেই চায়ের দোকানও হয়ে গেল দর্শনীয় স্থান। আর তা মানুষকে দেখানোর জন্য একটি বিশেষ ট্যুরের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় একটি পর্যটন কোম্পানি।
সপ্তাহে এক দিন করে চলে এই বিশেষ ট্যুর। নিবন্ধন করা পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানো হয় মোদির চায়ের স্টল, তার ছোটবেলার স্কুল।
গুজরাট থেকেই তিনি শুরু করেছিলেন কর্মজীবন। প্রথম জীবনে বাবার চায়ের দোকানে কাজ করতেন বর্তমানের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এ রাজনীতিক। তিনি ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তার স্তুতিতে নানান কার্যকলাপ।
নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভড়নগর প্রথম সবার নজরে আসে। আহমেদাবাদ থেকে ৯৯ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রায় এক দশক। সেসময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর জন্মস্থান ছিল অনেকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। আর মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ভড়নগর দেশব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠে।
এ থেকেই ট্যুর চালানোর চিন্তা মাথায় আসে স্থানীয় পর্যটন কোম্পানিটির হর্তা-কর্তাদের। শেষতক শুরুই হয়ে যায় বিশেষ ট্যুর।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই চলছে এই বিশেষ ট্যুর। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার মানুষ এর আওতায় ভ্রমণ করেছেন মোদির জন্মস্থান। আরও ৪০ হাজার এই গ্রীষ্মেই সেখানে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করবে বলে আশা উদ্যোক্তাদের।
এ ব্যাপারে ট্যুরের পরিচালক মনীষ শর্মা বলেন. ‘চলতি বছরই এই ট্যুর শুরু করেছি আমরা। এরই মধ্যে প্রায় ১০ হাজার পর্যটক পেয়েছি। সামনেই গ্রীষ্মকাল। আশা করছি আরও ৪০ হাজার পর্যটক পাব আমরা।’ পর্যটকদের উত্সাহ নিয়ে মনীষের মন্তব্য. ‘সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে এতে অংশ নেয়। তাদেরকে ঘুরিয়ে দেখানো হয় সবকিছু। তখন অনেক ছবি তোলে পর্যটকেরা।’
মনীষ শর্মা জানিয়েছেন শিগগিরই সপ্তাহে ১ দিনের পরিবর্তে প্রতিদিনই ট্যুর চালাতে চাইছেন তিনি। আর এতে অংশ নিতে চাইলে জনপ্রতি খরচ হবে ৬০০ রুপি।
উল্লেখ্য, এর আগে গুজরাটে নরেন্দ্র মোদির নামে মন্দির তৈরি করেছিল স্থানীয়রা। শেষে মোদির হস্তক্ষেপে বন্ধ হয় তা। এছাড়া নিজের নামাঙ্কিত স্যুট পরেও সমালোচিত হয়েছিলেন স্বাধীন ভারতে জন্ম নেয়া এই প্রধানমন্ত্রী। তবে পরবর্তীতে সেই স্যুটের নিলাম করে অর্জিত অর্থ জনকল্যাণে দান করে দেয়া হয়েছিল।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/ডিএআ