এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পাসওয়ার্ড নিয়ে ঝুঁকি কমবেশি সবাইকে পোহাতে হয়েছে। উদ্ভট কোনো অক্ষরসমাহার, কিংবা অঙ্ক-বর্ণের সংকর দিয়ে অভেদ্য পাসওয়ার্ড বানানোর চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রবেশ-সংকেতটি মনে রাখাই কঠিন হয়ে পড়ে।
এই সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টায় কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় কাজ হচ্ছে নানারকম। এরইমধ্যে বেশ কিছু বিকল্প উপায় চালুও হয়েছে। খুব বেশি দিন হয়তো নেই, যখন একেবারে ঝঞ্ঝাটমুক্ত পন্থায় তালা মেরে দেওয়া যাবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে, চাবিটাও হবে পানির মতো সহজ কিছু।
যা এসে গেছে, আর যা আসছে- সেরকমই কিছু পাসওয়ার্ড-পন্থা তুলে ধরা হলো জাগো
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভাল উপায়,
এটি ইতোমধ্যেই চালু হয়ে গেছে। এর জন্য দরকার হয় আপনার পুরনো পাসওয়ার্ডটাই আর একটা মোবাইল ফোন। প্রতিবার ফাইল বা অ্যাকাউন্ট অথবা অন্য যা কিছু পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত তা খোলার সময় আপনার মোবাইল বার্তা হিসেবে নতুন একটি সংকেত হাজির হবে। অর্থাৎ পরিবর্তনশীল পাসওয়ার্ড হবে চুরি ঠেকানোর উপায়। তবে পদ্ধতিটি একটু ঝামেলার তো বটেই। গতবছরই গুগল একটি হার্ডওয়্যার বাজারে ছেড়েছিল যা কম্পিউটারে ইউএসবি সংযোগ হিসেবে লাগানো যায় এবং প্রত্যেকবার নতুন সংকেত তৈরি করে দেয়। তবে এ পদ্ধতি মোবাইল ফোনে ব্যবহার করার উপায় নেই।
মজার পদ্ধতি,
এই পদ্ধতির একটি সংস্করণ এখনই প্রচলিত। মোবাইল ফোনে বিন্দু ছুঁয়ে রেখাপথ তৈরি। কিন্তু এরই কিছু অগ্রসর ভাবনা বাস্তবায়নের কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। তারা চাইছেন স্রেফ আঙুল ঘুরিয়ে একটা মুক্তরেখা এঁকেই যেন পাসওয়ার্ডের কাজটি করা যায়। ছেলেবেলায় আঁকিবুকির অভ্যেসটা বেশ ঝালাই হয়ে যাবে এর ফলে।
ভাল এবং সম্ভবপর উপায়,
বায়োমেট্রিক পাসওয়ার্ডের চল এখনই রয়েছে। অর্থাৎ আঙুলের ছাপ, রেটিনা স্ক্যান এসবের মাধ্যমে সুরক্ষা। কিন্তু মানবদেহে এরকম আরো অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যেগুলোকে এক্ষেত্রে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। যেমন, জেডটিই কোম্পানি তাদের একটি ফোনে চালু করেছে কানের বৈশিষ্ট্যচিহ্নের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে চিহ্নিত করার উপায়। একইভাবে চোখের রক্তবাহী শিরা বা এরকম আরো কিছু অঙ্গের অনন্য বৈশিষ্ট্যকে পাসওয়ার্ড হিসেবে কাজে লাগানো যাবে হয়তো শিগগিরই।
সবচেয়ে আজব উপায়,
এটা শুনলে সাইফাই মুভির কথা মনে হতে পারে। একটা আস্ত মানুষ যদি হয়ে যায় পাসওয়ার্ড? মানে, আপনার পাসওয়ার্ড আপনিই, আর কোনো কিছুর দরকার নেই। আপনার সংস্পর্শেই চিচিং ফাঁক হবে সব সুরক্ষিত দুয়ার। কাজ চলছে এ নিয়েও। মটোরোলার গবেষণাগারে এনিয়ে কাজ রীতিমতো এগিয়েও গেছে অনেকটা। তাদের উদ্ভাবন অনুযায়ী একটা মাইক্রোচিপ ভিটামিন ক্যাপসুলের মতো গিলে ফেললেই কেল্লা ফতে। পেটের ভেতর অন্ত্রের এসিড থেকে শক্তি নেবে চিপটি। আর বিচ্ছুরণ করবে একধরণের সংকেত। যা থেকেই আপনার উপস্থিতিই যথেষ্ট পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত কোনো কিছু খুলে ফেলতে। হয়তো শুধু হাতের একটা ইশারাতেই কাজ হয়ে যাবে। আর আপনি হয়ে যাবেন জলজ্যান্ত একটা পাসওয়ার্ড!
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/