এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এ যেন মাছ বৃষ্টি! রাস্তা ভরে গেছে শিং মাছে। অস্বাভাবিক এই মাছ-বৃষ্টিতে দারুণ আনন্দিত গ্রামবাসীরা। এ নিয়ে রীতিমত উত্সবে মেতে উঠেছে তারা।
স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মাছ তোলায় ব্যস্ত। আসলে কিন্তু এমন ঘটনা নয়। মাছবোঝাই একটি ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হলে ট্রাকে থাকা ছয় হাজার ৮০০ কেজি মাছ রাস্তায় পড়ে যায়।
ঘটনাটি আজ বুধবার ঘটেছে চীনের গুইঝু প্রদেশের কাইলি সড়কে। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
এর আগে সত্যি সত্যি অস্বাভাবিক মাছ-বৃষ্টিতে দারুণ আনন্দিত হয়েছিল গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসী পথের ধারে, মাঠে মাছ কুড়িয়ে বেড়াচ্ছিলেন। আকাশ থেকে ঝরে পড়া ছোট ছোট মাছের অনেকগুলো তখনো তাজা।
কুড়ানো মাছভর্তি পাত্রে পানি ঢেলে দিতেই লাফিয়ে উঠল মাছ। ঠিক যেনো রূপকথার গল্পের মতো। শ্রীলঙ্কার চিলাও জেলার একটি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছিল। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছিল বিবিসি।
গ্রামবাসী জানিয়েছিলেন, ঘরের চালে আকাশ থেকে ভারী কিছু পড়ার শব্দে তারা বাইরে ছুটে আসেন। খোলা মাঠে, বাড়ির আশপাশে, রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মাছ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
ওই গ্রামের বাসিন্দারা সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কিলোগ্রামের মতো মাছ কুড়িয়েছেন বলে জানান। খাওয়ার উপযোগী মাছ-বৃষ্টিতে আনন্দ-ভোজ শুরু হয়ে যায় গ্রামটিতে। তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি লম্বা মাছগুলো শ্রীলংকায় পরিচিত।
বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, মাছ-বৃষ্টি’ অস্বাভাবিক হলেও প্রকৃতিতে এটা ঘটে থাকে। মাছসমৃদ্ধ কোনো কম গভীরতার জলাশয়ের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্র বয়ে গেলে এমন জলঘূর্ণি ঘটতে পারে। এ সময় পানিতে থাকা মাছ, ব্যাঙসহ সবকিছুই ঘূর্ণিবায়ুর সঙ্গে আকাশে উঠে যায়। ঝড়ের সঙ্গে অনেকদূরে চলে যেতে পারে এসব জলজ প্রাণীও। ঝড়, জলঘূর্ণি থেমে গেলে মেঘের ভেতর থেকে ঝরে পড়তে শুরু করে জলজপ্রাণীগুলো।
তবে শ্রীলঙ্কায় মাছ-বৃষ্টির ঘটনা ২০১৪ সালেই প্রথম নয়, ২০১২ সালে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ‘চিংড়ি-বৃষ্টি’ হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/