এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ডেমিয়েন প্রিসটন বুথ সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে সম্পদশালী ডিজিটাল ভিক্ষুক । এই ডিজিটাল ভিক্ষুকের ভিক্ষার ধরন শুনলে আপনি চমকে যাবেন ।
যুক্তরাজ্যের ল্যাংকাশায়ারের অধিবাসী ৩৭ বছর বয়সী এই যুবক প্রতি সপ্তাহে লন্ডনের মে ফেয়ারে যান ধনী পর্যটকদের কাছ থেকে অনুদানের টাকা আনতে। তাও আবার নগদ নয়, আধুনিক প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত বুথ টাকা নেন ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে। তিনি সব সময় একটি কার্ড রিডার সঙ্গে রাখেন। এর কারণ হচ্ছে, তিনি অনুদান পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখেন
আসলেই টাকা তার অ্যাকাউন্টে এসেছে কি-না।
তিনি যে বিলাশ বহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন তার ভাড়া প্রতি মাসে ৩০০ পাউন্ড আর তার ব্যাংক হিসাবে কত টাকা আছে তা বুঝা যায় কিছু দিন পর পর বিদেশ ভ্রমণ ও খরচ পাতির পরিমাণ দেখে ।
প্রতি বুধ বার লন্ডনে যান ভিক্ষা করতে। সেখানে গিয়ে তিনি নিজেকে গৃহহীন বলে পরিচয় দেন। যখনই কেউ টাকা দিতে রাজি হন বুথ সঙ্গে সঙ্গে তার কার্ড রিডারটি বের করেন। এটি তাকে নিশ্চিত করে যে টাকা তার পে-পল অ্যাকাউন্টে পেঁৗছেছে। এই কার্ড রিডার আবার ব্লুটুথের মাধ্যমে তার স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত। বুথ টাকা গ্রহণ করে দাতাকে একটি রসিদ ধরিয়ে দেন।
কাজটি মর্যাদাহীন হলে ও বুথ এটিকে সফলভাবেই তার পূর্ণকালীন পেশায় পরিণত করেছেন। তার এক সাবেক বন্ধু জানান, বুথ এভাবে হাজার হাজার পাউন্ড উপার্জন করেন। তিনি গত এক বছরে পাঁচ থেকে ছয়বার বিদেশ ভ্রমণে গেছেন। এর প্রমাণ তার ফেসবুক পেজেও দেখা যায়। সেখানে বুথকে ফ্রান্সের প্যারিস ও স্পেনের ইবিজা সৈকতে অবকাশ যাপন করতে দেখা যায়।
এমন স্বভাব সম্বন্ধে বুথকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অকপটে বলেন, আমার লুকানোর কিছু নেই। আমি যখন লন্ডনে ছিলাম, তখন আমার থাকার জায়গা ছিল না। গত অক্টোবর থেকে আমি একটি ফ্ল্যাটে থাকি। ভিক্ষার টাকা দিয়ে আমি ফ্ল্যাটের জন্য মালপত্র কিনি। অন্য ভিক্ষুকদের মতো আমি আমার উপার্জিত টাকা মাদক বা বিয়ারের পেছনে খরচ করি না। বিদেশ ভ্রমণের ব্যাপারে বুথ সোজাসাপ্টা জবাব, তিনি কাজ খুঁজতে গিয়েছিলেন। যে কোন কাজে তিনি রাজি সেটা ক্লিনারের বা ড্রাইভিং। সূত্র : অডিটি সেন্ট্রাল।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/