এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের দেহে নানা ধরণের সমস্যা দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জ্বরে । তাই এই জ্বর প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা খুব দরকার।জেনে নেওয়া যাক যেসব খাবার খেলে আপনি এবং আপনার পরিবার জ্বর থেকে মুক্তি পেতে পারেন
১. কালো জিরা ভর্তা: সকল রোগের ঔষধি হচ্ছে কালো জিরার। তাই নিয়মিত কালো জিরার ভর্তা খাওয়ার অভ্যাস করুন।কারণ কালো জিরা সকল রোগ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
২. আদা: চা অথবা গরম পানিতে লেবুর সঙ্গে মিশিয়ে আদা কুচি খেতে পারেন। এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশনের সঙ্গে লড়াই করে।
৩. তুলসি পাতা: তুলসি পাতা হচ্ছে একটি ঔষধি পাতা । ১ চা চামচ জিরা এবং ৪-৬টা তুলসি পাতা এক গ্লাস পানিতে নিয়ে সিদ্ধ করে প্রতিদিন দুইবার ১ চা-চামচ করে খেলে জ্বর দ্রুত কমবে।
৪. মৌসুমি ফলমূল: ফল-এ রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি। মৌসুমি ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেনট, যেগুলো জ্বর থেকে দ্রুত সারিয়ে তোলে।
৫. চালের সুজি: জ্বরের সময় আরেকটি উপকারী খাবার হল, চালের সুজি। সঙ্গে সামান্য আদাকুচি ও সিদ্ধ করা সবজি।
৬. কিশমিশ: কিশমিশ হচ্ছে একটি মজাদার খাবার । তবে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর জন্য কিশমিশ একটি উপকারী খাবার। কিশমিশে আছে ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
৭. শিং-মাগুর মাছের ঝোল: জ্বর থেকে দূরত্ব মুক্তি পেতে এবং আগের শক্তি পুনরায় ফিরে পেতে দেশি শিং ও মাগুর মাছের ঝোল একটি আদর্শ খাবার।
৮. গোলমরিচ ও লবঙ্গ: নরম ভাত, খিচুড়ি অথবা আলু সিদ্ধর সঙ্গে একটু গোলমরিচ ও লবঙ্গ মিশিয়ে খেলে জ্বরে উপকার হবে।
৯. ফ্লু’ প্রতিরোধী জিংক খাবার: রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে সজীব রাখতে জিংক অপরিহার্য। জিংকের অসংখ্য কাজের মধ্যে অন্যতম হল, অন্থিমজ্জার জীবাণু বিধ্বংসী কোষগুলোর উৎপাদন তদারকি করা। জিংকের অন্যতম উৎস হল বিভিন্ন রকম কপি, মটরশুঁটি, তিল, তিসি, শস্যদানা, গরুর মাংস ও সামুদ্রিক মাছ।
১০. রসুন: সকল রোগের ঔষধ হচ্ছে রসুন। রসুন জ্বর ও ঠাণ্ডা প্রতিরোধী উপাদান হিসেবে খুবই পরিচিত। রসুন বিশেষ ধরনের এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধি করে। রসুন যকৃতের রক্ত থেকে বিষাক্ত দ্রব্য শোষণ করতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুন আপনাকে দিতে পারে বেশি উপকার।
১১. মধু: মধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান। ঠাণ্ডা ও জ্বর থেকে রক্ষা পাওয়ার কার্যকরী পথ্য হল, মধু। এটি ব্যাকটিরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধ করে। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে মধু সেবন ভাল ফল দেয়। প্রতিরাতে এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে বেশি উপকার পাবেন।
১২. গাজর: গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণ বেটা ক্যারেটিন। গাজরের স্যুপ রোগ প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। গাজর ঠাণ্ডা ও ফ্লু’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এ ছাড়া ঠাণ্ডাজনিত ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/