মরুভূমিতে রোমিও-জুলিয়েটের কবর
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মঙ্গোলিয়ায় গোবি মরুভূমির নীচে পাওয়া গেল রোমিও-জুলিয়েটের কবর। তবে এরা শেক্সপিয়রের চিরন্তন প্রেমের মানবীয় চরিত্র নয়। দু’জনেই ডাইনোসর। বিজ্ঞানীদের মতে ৭ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে এই ডাইনোসর দু’টিকে একসাথে কবর দেওয়া হয়। এদের কঙ্কাল একসঙ্গে পাওয়া যাওয়ায় এদের নাম রাখা হয়েছে রোমিও-জুলিয়েট।
আমেরিকার অ্যালবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রজাতির পাখির আকৃতির ডাইনোসরকে কাছাকাছিই কবর দেওয়া হয়েছিল। কোনও এক প্রবল মরু ঝড়ে কাছাকাছি এসে যায় কঙ্কাল দুটি। যদিও এরা স্ত্রী না পুরুষ তা জানা যায়নি।
অ্যালবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ছাত্র স্কট জানিয়েছেন, ডাইনোসরের লিঙ্গ নির্নয় করা খুবই কঠিন। কারণ এদের জীবাশ্ম খুবই নরম হয়। তা থেকে লিঙ্গ নির্ধারণ প্রায় অসম্ভব।
২০১১-এর এই প্রজাতির ডাইনোসরদের লেজ নিয়ে একটি গবেষনা পত্র পেশ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে, পক্ষীশ্রেণির হলেও এই প্রজাতির ডাইনোসর মাটিতেই চলাফেরা করত। তবে তাদের লেজটি ময়ূর, টার্কি প্রভৃতি পাখির মতো বিপরীত লিঙ্গের ডাইনোসরকে আকৃষ্ট করার জন্যই ব্যবহৃত হত।
গবেষকদের মতে, এই প্রকার ডাইনোসর যদি তাঁদের লেজ শুধুমাত্র বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করার কাজেই ব্যবহার করে থাকত, তাহলে মেনে নিতে হবে তাঁদের মধ্যে লিঙ্গভেদ ছিল।
তবে এই রোমিও ও জুলিয়েটের কঙ্কালের গঠনের খুব একটা তফাত নেই। রোমিওর লেজটি খানিক বড়। এর থেকে মনে করা হচ্ছে সে পুরুষ হতে পারে। একইভাবে জুলিয়েটের লেজের হার খানিক ছোট। তা থেকে মনে করা হচ্ছে সম্ভবত সে মেয়ে। তবে কয়েক যুগ ধরে তারা যে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে, তা দেখে মনে হতেই পারে প্রেমের চিরন্তন প্রতিমূর্তি রোমিও-জুলিয়েটের মতোই তারাও মৃত্যুর পরেও লালন করে চলেছে তাদের ভালোবাসাকে।
৭ এপ্রিল,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এমহক