এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সম্মন্ধ করে বিয়ে ভালো নাকি প্রেমের বিয়েতেই বেশি সুখ? এ নিয়ে নানাজনের নানা মত রয়েছে। তবে আজকের যুগে বিয়ে করার আগে হবু স্বামী বা স্ত্রী কেন পূর্ব পরিচিত হওয়া দরকার বা প্রেম করে বিয়ে করার সুবিধাগুলো কী তা জেনে নিন।
পছন্দ বা ভালো লাগা :
বিয়ে শুধু দু’টি মানুষের মধ্যে নয়, দু’টি পরিবারের মধ্যেও নতুন সম্পর্কের সূচনা করে। তাই নব দম্পতির অনেকটা সময় চলে যায় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পরিচিত হতে। নিজেদের পছন্দ-অপছন্দের খবর নেয়ার তেমন সুযোগ পান না তাঁরা। ফলে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু বিয়ের আগে প্রেম বা বন্ধুত্ব থাকলে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ থাকে কম, দাম্পত্যজীবনও হয় মধুময়। আর পরবর্তীতে উপহার নির্বাচনেও অসুবিধা হয় না।
একে অপরের প্রতি বিশ্বাস :
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মূল ভিত হলো বিশ্বাস৷ বিশ্বাস ছাড়া কখনো সংসার টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আর বিয়ের আগে, অর্থাৎ মন দেয়া-নেয়ার সময় একে-অপরের প্রতি বিশ্বাসের প্রমাণ দেওয়া বা পাওয়ারও যথেষ্ট সুযোগ থাকে। সুযোগ থাকে অন্যজনের ভালো লাগা-মন্দ লাগা, চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে জানারও।
ভুল-ক্রুটি বা দুর্বলতা :
প্রতিটি মানুষই ভুল করে। প্রত্যেকের মধ্যেই থাকে নানা ক্রুটি বা দুর্বলতা। কিন্তু বিয়ের পরে, হঠাৎ করে এ সব জানার পর অনেক দম্পতির মধ্যেই হতাশার জন্ম নেয়। কেউ-ই ‘পারফেক্ট’ নয় – কথাটা যেমন ঠিক, তেমনই বিয়ের আগে এ সমস্ত কথা জানা থাকলে একে-অপরের ক্রুটিগুলো মেনে নেওয়া সহজ হয়!
ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই :
আজকের যুগের বিয়ের পর অনেক দম্পতির ভেতর তাদের পুরনো প্রেম নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকে। কিন্তু প্রেম করে বিয়ে করলে এর কোনো সুযোগ থাকে না। বরং স্বামী-স্ত্রীর বুন্ধদের মধ্যে অনেকেই পূর্ব পরিচিত বা ‘কমন ফ্রেন্ড’ হওয়ায় আধুনিক জীবনযাপন আরও সহজ হয়।
পারিবারিক কলহ এড়াতে :
বিয়ের পর দুই পরিবারের মধ্যে যৌতুকের মতো নানা কারণে যে কলহ বা ভুল বোঝাবুঝি হয়, তা এড়ানো সম্ভব যদি আগে থেকেই ছেলে-মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব বা প্রেম থাকে। কারণ প্রেম করে বিয়ে হলে পরিবারের বড়রা সাধারণত এ সব ব্যাপারে চুপ করে থাকাটাই শ্রেয় বলে মনে করেন।
বিশেষজ্ঞের মত :
জার্মানি বা ইউরোপের দেশগুলোতে সাধারণত ভালোভাবে পরিচয়ের পরই মানুষ বিয়ে করে বা অনেকে বিয়ে না করেও একসাথে বসবাস করে। তবে বিয়ের আগে একে-অপরের পছন্দ-অপছন্দ, সখ, ইচ্ছে – এ সব খুব ভালো করে জেনে নিয়ে তবেই সারা জীবন একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া বা বিয়ের মতো বড় সিদ্ধান্তটি নেওয়া উচিত বলে মনে করেন জার্মানির পারিবারিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ব্যার্নহার্ড ভল্ফ।