এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বাজারে এখন নকল ডিমের ছড়াছড়ি। এ বিষয়টিকে কিছুতেই উড়িয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিপুল পরিমাণ নকল ডিম ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশে-ভারত-মায়ানমার সহ আশেপাশের বিভিন্ন দেশে। বাণিজ্যিকভাবে নকল ডিমের ব্যবসা বেশ লাভজনক হওয়ায় নানা মহল এখন মাঠে নেমেছে।
মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট মর্নিং নিউজ এজেন্সি-সহ বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে এ বিষয়টি। বাংলাদেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ভালো ডিমের সাথেই দেদারছে বিক্রি হচ্ছে এ ডিম।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অফ টক্সোকোলজি’তে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে। তাতে অবশ্য একথাও বলা আছে যে, কৃত্রিম ডিমে কোনও খাদ্যগুন নেই। নেই কোনও প্রোটিন নেই। বরং তা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
বিভিন্ন গবেষণায় উঠে আসে এ বিষাক্ত ডিম তৈরিতে ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন, জিলেটিন ব্যবহার করা হয়। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা হতে এবং ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগের সৃষ্টি করে নকল ডিম।
কীভাবে চিনবেন নকল ডিম?
নকল ডিমের আকৃতি অন্য ডিমের তুলনায় তুলনামূলক লম্বাটে ধরণের হয়ে থাকে।
নকল ডিমের কুসুমের চারপাশে রাসায়নিকের পর্দা থাকে বিধায় অক্ষত কুসুম পাওয়া গেলে সেই কুসুম কাঁচা কিংবা রান্না অবস্থাতে সহজে ভাঙতে চায় না।
কৃত্রিম ডিম অনেক বেশি ভঙ্গুর। এর খোসা অল্প চাপেই ভেঙে যায়।
এই ডিম সিদ্ধ করলে কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়।
ভাঙার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় না থেকে খানিকটা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় পুরো কুসুমটাই নষ্ট ডিমের মত ছড়ানো থাকে।
কৃত্রিম ডিম আকারে আসল ডিমের তুলনায় সামান্য বড়
এর খোলস খুব মসৃণ হয়। খোসায় প্রায়ই বিন্দু বিন্দু ফুটকি দাগ দেখা যায়।
রান্না করার পর এই ডিমে অনেক সম্যেই বাজে গন্ধ হয়। কিংবা গন্ধ ছাড়া থাকে। আসল কুসুমের গন্ধ পাওয়া যায় না।
নকল ডিমকে যদি আপনি সাবান বা অন্য কোন তীব্র গন্ধ যুক্ত বস্তুর সাথে রাখেন, ডিমের মাঝে সেই গন্ধ ঢুকে যায়। রান্নার পরেও ডিম থেকে সাবানের গন্ধই পেতে থাকবেন।
নকল ডিমের আরেকটি উল্লেখ্য যোগ্য লক্ষণ হলো ডিম দিয়ে তৈরি খাবারে এটা ডিমের কাজ করে না। যেমন পুডিং বা কাবাবে ডিম দিলেন বাইনডার হিসাবে। কিন্তু রান্নার পর দেখবেন কাবাব ফেটে যাবে, পুডিং জমবে না।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর