এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন। কেউ কয়েল ব্যবহার করেন কেউবা লিকুইড, ক্রিম মাখেন শরীরে।
তবে এসব ক্রিম এবং কয়েলের ধোঁয়া স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। বিশেষ করে শিশুদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় মশা মারার র্যাকেট বা ব্যাট। এগুলো ব্যাটারি চালিত। একবার চার্জ দিলে অনেক সময় ধরে এটি মশা মারার কাজে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু জানেন কি কীভাবে এটি মশা মারতে পারে? আসলে এর মধ্যে তড়িৎ পরিবাহিত হয়, যা মশার সংস্পর্শে এলেই মশা মরে যায়।
অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে এই ব্যাটে ঠিক কতটা পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহিত হতে পারে? তাতে কি মানুষের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে? আসলে এই ধরনের ব্যাটগুলো থেকে যে পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহিত হয় তা খুব কম মাত্রার হলেও শর্ট করতে পারে। এই আঘাতেই মশা মারা যায়। এটিতে ৫০০ থেকে ৩০০০ ভোল্ট প্রবাহিত হতে পারে।
তবে বিদ্যুৎ প্রবাহ খুব কম, মাত্র কয়েক মাইক্রোঅ্যাম্পিয়ার। এত কম তড়িৎ তরঙ্গ মানুষের ক্ষতি করতে পারে না। তবে যদি এটি খালি হাতে স্পর্শ করা হয় তবে সামান্য ঝটকা লাগতে পারে। এই গ্যাজেট থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তা শুধু মশা বা মাছির মতো ছোট কীটকেই মেরে ফেলে। তবে এটি শিশুদের নাগালেই বাইরে রাখার পরামর্শ দেন কোম্পানিগুলো।
এ ধরনের ব্যাটে হাই ভোল্টেজ জেনারেটর সার্কিট ইনস্টল করা থাকে। বলা ভালো এটিই ব্যাটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সার্কিটের কাজই হলো ডায়রেক্ট কারেন্ট (ডিসি) ভোল্টেজকে হাই ভোল্টেজ এসিতে রূপান্তর করা। এই রূপান্তেরর সময় এটি ২০০-৩০০ ভোল্টেজ শক তৈরি করে।
অ্যাম্পিয়ার এবং মাইক্রোঅ্যাম্পিয়ার উভয়ই বিদ্যুৎ প্রবাহের একক, তবে তাদের মাত্রা আলাদা। অ্যাম্পিয়ারকে A দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, মাইক্রোঅ্যাম্পিয়ারকে µA দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ মাত্রার বিদ্যুৎ পরিমাপের জন্য অ্যাম্পিয়ার লেখা। ছোট বৈদ্যুতিন যন্ত্রগুলো জন্য মাইক্রোঅ্যাম্পিয়ারে কাজ করে।
সূত্র: নিউজ ১৮, ইলেক্ট্রোথিংকস