এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : চলছে সুস্বাদু রসালো ফল আমের মৌসুম। আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আম এমন এক ফল যা কাঁচা এবং পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়।
আম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের খনিজ, ভিটামিন এবং বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ। কাঁচা এবং পাকা দুই ধরনের আমেই রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ।
গরমের শুরুতে কাঁচা আম ভর্তা, আচার বা শরবত খেতে পছন্দ করেন সবাই। আবার ডালের সঙ্গে মিশিয়ে কিংবা তরকারিতে দিয়েও কাঁচা আম খান অনেকে।
তবে সুমিষ্ট পাকা আম খাওয়ার জন্যই অপেক্ষা করেন সবাই। কিন্তু কাঁচা না পাকা, কোন ধরনের আম স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে।
কাঁচা আম, না কি পাকা আম?
কাঁচা আমের স্বাদ টক। আর পাকা আম মিষ্টি। দু’ধরনের আমের পুষ্টিগুণও দু’ধরনের। কাঁচা আম রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা ত্বক এবং চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে।
আবার পাকা আমের মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। এই উপাদানটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। বয়সজনিত সমস্যাও রুখে দিতে পারে। তবে পাকা আমে যেহেতু শর্করার পরিমাণ বেশি, তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়।
কোনটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?
কাঁচা কিংবা পাকা দুই ধরনের আমই শরীরের জন্য উপকারী। কাঁচা আমে যেমন ভিটামিন সি থাকে বেশি। আবার পাকা আমে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। কাঁচা, পাকা- দুই ধরনের আমেই ফাইবার থাকে প্রচুর। তাই দুধরনের আমই শরীরের পক্ষে ভালো।
কাঁচা আম
১. কাঁচা আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কাঁচা আম যেভাবেই খাওয়া হোক, তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
২. কাঁচা আমে গ্যালিক অ্যাসিড থাকে। যা গরমকালে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে কাঁচা আম খেলে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা দূর হয়।
৩. পটাশিয়াম থাকার কারণে কাঁচা আম খেলে ঘাম কম হয়। ক্লান্তিও দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা আমের শরবত।
৪. কাঁচা আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই ফল খেলে রুক্ষ, শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। তবে অতিরিক্ত না খাওয়াই উচিত। কাঁচা আম বেশি খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পাকা আম
১. পাকা আমে ক্যালোরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, কার্বোহাইড্রেট, ক্যারোটিন ও পটাশিয়াম রয়েছে। ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। বিশেষ করে শিশুদের দাঁত, চুল এবং দৃষ্টিশক্তির জন্য পাকা আম খুব উপকারী।
২. রোজ একটি করে পাকা আম খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাকা আমের মধ্যে প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে, যা শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে।
৩. কাঁচা, পাকা- দুই ধরনের আমেই ফাইবার থাকে প্রচুর। তাই দুধরনের আমই শরীরের পক্ষে ভালো।
৪. কিন্তু পাকা আমও অতিরিক্ত না খাওয়াই ভাল। বিশেষ করে পাকা আমে শর্করা বেশি থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পাকা আম খাওয়া উচিৎ নয়। অন্যদিকে যারা ওজন কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করনে, তাঁদেরও অতিরিক্ত পাকা আম খাওয়া উচিৎ নয়।