মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:১৯:০৩
আকৃষ্ট করতে ইঁদুর শোনায় ভালোবাসার গান!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভালোবাসার মানুষটিকে আকৃষ্ট করতে গান শোনান অনেক নারী-পুরুষই। একে অপরকে গান শুনিয়ে বেশ মজা পান। তবে এই রেওয়াজ যে শুধু মানুষের মধ্যে বিদ্যমান তা কিন্তু নয়, প্রাণিকূলের মধ্যেও রয়েছে এই রেওয়াজ। বিস্ময়কর তথ্য হলো স্ত্রী ইঁদুরকে আকৃষ্ট করতে গান গায় পুরুষ ইঁদুরও। ভালোবাসার গান শোনায় কাছে পাওয়ার জন্য।
ইঁদুর স্মৃতি এবং বুদ্ধির বিভিন্ন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল দেখায়। মস্তিষ্কের বিভিন্ন জটিলতার গবেষণায় ব্যবহার করা হচ্ছে ইঁদুরকে। ইঁদুরের বাচ্চার শরীরে মানুষের কোষ প্রবেশ করানোর মাধ্যমে গবেষকরা এমন তথ্য পেয়েছেন যাদের মস্তিষ্কের অংশবিশেষ হলো মানুষের।
তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে ইঁদুর কীভাবে গান শোনায়? গন্ধ থেকে স্ত্রী ইঁদুরের উপস্থিতি টের পেয়েই পুরুষ ইঁদুর মানুষের শ্রবণশক্তির চেয়েও জোরে শব্দ সৃষ্টি করে। স্ত্রী ইঁদুর দেখার পর আওয়াজের মাত্রাটা বেড়ে যায়। শব্দের তারতম্যের মাধ্যমে স্ত্রী ইঁদুরকে গান শোনায় পুরুষ ইঁদুর।
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ইঁদুরের গান গাওয়া ও বিপরীত লিঙ্গের ইঁদুরকে আকৃষ্ট করার বিষয়ে গবেষণা করেন। গবেষক দলে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক এরিক জারভিস। এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান সাময়িকী ফ্রনটিয়ারস অব ‘বিহ্যাভিওরাল নিউরোসায়েন্স’।
গবেষকরা পুরুষ ইঁদুরের গান রেকর্ড করেন। পরে এর সঙ্গে গানের গায়কপাখির তুলনা করেন। গবেষকরা বলেন, পাখির চেয়ে ইঁদুরের শব্দ সৃষ্টির ক্ষমতা সীমিত। তবে ইঁদুরের গানে বেশ বৈচিত্র্য দেখা যায়। স্বরের তারতম্য ও শব্দের তীব্রতায় ইঁদুর গানে বৈচিত্র্য আনে।
গবেষকরা বলেন, ইঁদুরের শব্দ অনেক ক্ষেত্রে ৫০ কিলোহার্টজের মতো হয়। এটি মানুষের শ্রবণের সীমার বাইরে। এর তীব্রতা কমিয়ে আনলে পাখির কিচিরমিচিরের মতো শোনায়।
গবেষক এরিক জারভিস বলেন, প্রাণিকূলের ভাব বিনিময় মানুষের ধারণার চেয়েও জটিল ও উন্নত। গবেষণায় ইঁদুরের গান গাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা কোনোভাবেই কয়েকটি কিচ কিচ শব্দে সীমাবন্ধ নয়।
গবেষকরা বলেন, পুরুষ ইঁদুর গানের মাধ্যমে স্ত্রী ইঁদুরকে নিজের প্রতি আগ্রহী করার চেষ্টা করে। জটিল শব্দের মাধ্যমে আকৃষ্ট করার অভিনব পদ্ধতি। একইসঙ্গে এ পদ্ধতি পুরুষ ইঁদুরের জন্য পৌরুষত্বের প্রকাশও। পুরুষ ইঁদুর জোরে ও জটিল শব্দের মাধ্যমে স্ত্রী ইঁদুরের কাছে তার অবস্থান জানান দেয়।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএস
ইঁদুর স্মৃতি এবং বুদ্ধির বিভিন্ন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল দেখায়। মস্তিষ্কের বিভিন্ন জটিলতার গবেষণায় ব্যবহার করা হচ্ছে ইঁদুরকে। ইঁদুরের বাচ্চার শরীরে মানুষের কোষ প্রবেশ করানোর মাধ্যমে গবেষকরা এমন তথ্য পেয়েছেন যাদের মস্তিষ্কের অংশবিশেষ হলো মানুষের।
তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে ইঁদুর কীভাবে গান শোনায়? গন্ধ থেকে স্ত্রী ইঁদুরের উপস্থিতি টের পেয়েই পুরুষ ইঁদুর মানুষের শ্রবণশক্তির চেয়েও জোরে শব্দ সৃষ্টি করে। স্ত্রী ইঁদুর দেখার পর আওয়াজের মাত্রাটা বেড়ে যায়। শব্দের তারতম্যের মাধ্যমে স্ত্রী ইঁদুরকে গান শোনায় পুরুষ ইঁদুর।
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ইঁদুরের গান গাওয়া ও বিপরীত লিঙ্গের ইঁদুরকে আকৃষ্ট করার বিষয়ে গবেষণা করেন। গবেষক দলে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক এরিক জারভিস। এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান সাময়িকী ফ্রনটিয়ারস অব ‘বিহ্যাভিওরাল নিউরোসায়েন্স’।
গবেষকরা পুরুষ ইঁদুরের গান রেকর্ড করেন। পরে এর সঙ্গে গানের গায়কপাখির তুলনা করেন। গবেষকরা বলেন, পাখির চেয়ে ইঁদুরের শব্দ সৃষ্টির ক্ষমতা সীমিত। তবে ইঁদুরের গানে বেশ বৈচিত্র্য দেখা যায়। স্বরের তারতম্য ও শব্দের তীব্রতায় ইঁদুর গানে বৈচিত্র্য আনে।
গবেষকরা বলেন, ইঁদুরের শব্দ অনেক ক্ষেত্রে ৫০ কিলোহার্টজের মতো হয়। এটি মানুষের শ্রবণের সীমার বাইরে। এর তীব্রতা কমিয়ে আনলে পাখির কিচিরমিচিরের মতো শোনায়।
গবেষক এরিক জারভিস বলেন, প্রাণিকূলের ভাব বিনিময় মানুষের ধারণার চেয়েও জটিল ও উন্নত। গবেষণায় ইঁদুরের গান গাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা কোনোভাবেই কয়েকটি কিচ কিচ শব্দে সীমাবন্ধ নয়।
গবেষকরা বলেন, পুরুষ ইঁদুর গানের মাধ্যমে স্ত্রী ইঁদুরকে নিজের প্রতি আগ্রহী করার চেষ্টা করে। জটিল শব্দের মাধ্যমে আকৃষ্ট করার অভিনব পদ্ধতি। একইসঙ্গে এ পদ্ধতি পুরুষ ইঁদুরের জন্য পৌরুষত্বের প্রকাশও। পুরুষ ইঁদুর জোরে ও জটিল শব্দের মাধ্যমে স্ত্রী ইঁদুরের কাছে তার অবস্থান জানান দেয়।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএস
