এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভালোবাসার মানুষটাকে আমরা হারাতে চাই না। তারপর যখন বুঝে যাই তাকে ছেড়ে দিতেই হবে তখন মনে করি প্রেমের সম্পর্ক না থাকলেও বন্ধুত্বটা থাকুক। সেটাও অনেক সময় সম্ভব হয় না। এমন ঘটনার পরে নতুন সম্পর্কে জড়াতে অনেকে প্রচণ্ডরকম ভয়ে থাকেন। কারণ সম্পর্ক নিয়ে তার ভীতি তৈরি হয়। আরেকজনকে বিশ্বাস করতে ভয় হয় তার।
অনেক ক্ষেত্রে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে মানুষ প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠেন। তিনি আগের সম্পর্ক থেকে তুলনামূলক ভালো একটি সম্পর্ক গড়তে চান এবং ছেড়ে যাওয়া মানুষটিকে দেখিয়ে দিতে চান যে তিনি আগের থেকে অনেক ভালো আছেন।
কেউ কেউ খুব বেশি হতাশ হয়ে পড়েন এবং একাকীত্ব কাটিয়ে উঠতে পারেন না। নিজেকে সব কিছু থেকে গুটিয়ে নেন। কিন্তু কেন হয় এমন, জীবনটাকে কী এভাবে শেষ হতে দেওয়া উচিত?
সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. মুনমুন জাহান বলেন, প্রিয়জন চলে যাওয়ার অনুভূতিগুলো কষ্টের। যে প্রেমের সম্পর্ককে সিরিয়াসলি নেয় না, তার কাছে ব্রেকআপ তেমন কিছুই না। কিন্তু কেউ যখন সম্পর্কটা খুব সিরিয়াসলি নেয় তার জন্য ব্রেকআপটা প্রচণ্ডরকম কষ্টের হয়ে যায়। কিন্তু এই অবস্থা থেকে বের হওয়া উচিত। সেজন্য প্রথমেই বিশ্বাস করুন যে সম্পর্কটা ছিল। আপনি যত বার ভুলে যেতে চাইবেন ততবারই সম্পর্কটা আরও বেশি সামনে আসবে। যারা মনে করেন যে প্রেমের সম্পর্কটা টিকে থাকেনি অন্তত বন্ধুত্বটা থাকুক। সেক্ষেত্রে বলবো যে অন্তত কিছুদিনের জন্য দূরত্ব মেইনটেইন করুন। এই সময়ের মধ্যে ঠিক করে নিতে হবে যে, নিজেকে আরও কীভাবে ভালো রাখা যায়, উন্নত করা যায়।
ভালো থাকার উপায় তাহলে কী?
মুনমুন জাহানের পরামর্শ, আমরা প্রত্যেকেই একটি পরিবারের অংশ, আমাদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের মুখের হাসি দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন। তাদের সঙ্গে আরেকটু বেশি সময় কাটাতে পারেন। নিজেকে গুটিয়ে না ফেলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে হবে।
আমরা যদি মানুষকে সাহায্য করতে পারি আমাদের মনের অবস্থা অনেক ভালো থাকে। আজকাল অনেক কমিউনিটি থাকে। যেমন রাইডিং কমিউনিটি, ট্যুর কমিউনিটি, সোশ্যাল ওয়ার্ক কমিউনিটি এসব কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যদি কোনো কাজ করতে পারেন তাহলে দেখবেন একাকিত্বের যে ভয় আপনাকে ঘিরে ধরতো সেই ভয় কেটে যাবে।
বিশ্বাস করতে পারেন যে, আমার জীবনে এটা (ব্রেকআপ) ঘটেছে। পরিবারের মানুষদের গুরুত্ব দিন, তাদের সঙ্গে সময় কাটান। একটা অর্থবহ জীবনযাপন করার জন্য সোশ্যাল অ্যাকটিভিটিজে যুক্ত হতে পারেন। এরপর আস্তে আস্তে জেনে যাবেন আপনার নিজের প্রধান কাজ কোনটা। জীবনটা অর্থবহ হলে একাকীত্ববোধটা আপনার ভেতর ভয়ের সৃষ্টি করবে না।