মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ১১:০০:২৭

যে ১০ উপকারিতা মেলে চা খেলে

যে ১০ উপকারিতা মেলে চা খেলে

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আজ আন্তর্জাতিক চা দিবস। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক মগ ধোয়া ওঠা চা ছাড়া অনেকের দিন শুরু হয় না। আবার দুপুরে কিংবা বিকেলে ক্লান্তি দূর করতে পারে এক কাপ গরম চা। 

চায়ের রয়েছে অনেক উপকারও। বিশেষ করে সবুজ চা ও কালো চা খেলে মিলবে নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান। আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটের একটি গবেষণা বলছে, যারা একেবারেই চা খান না তাদের তুলনায় প্রতিদিন দুই বা তার বেশি কাপ চা যারা খান, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৯ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত কম। 

নিয়মিত চা খেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটের পাশাপাশি বিবিসি গুড ফুডের একটি রিপোর্টও বলছে চা খাওয়ার নানা উপকারিতার কথা। জেনে নিন বিস্তারিত। 

সব ধরনের চা প্রতিরক্ষামূলক উদ্ভিদ যৌগের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যাকে পলিফেনল বলা হয়। পলিফেনল শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন এবং কালো চায়ের থেফ্লাভিন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ক্যানসারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।

চা রক্তনালীর কার্যকলাপ উন্নত করে এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। নাইট্রিক অক্সাইড নামক একটি যৌগ রয়েছে চায়ে, যা আমাদের রক্তনালীগুলোর ভেতরের পেশীগুলোকে শিথিল করতে সাহায্য করে ও রক্তকে আরও অবাধে প্রবাহিত হতে সাহায্য করে। 

কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো থাকে নিয়মিত চা খেলে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে পলিফেনল উপাদানটি। এছাড়া উচ্চমাত্রার ক্যাটেচিন পাওয়া যায় গ্রিন টি-তে, যা কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

চায়ে থাকা পলিফেনল  ইনসুলিন নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে কার্বোহাইড্রেটের প্রতি আমাদের শরীরের প্রতিক্রিয়া পরিচালনা করতে সহায়তা করে। গ্রিন টি এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর। নিয়মিত চা খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে বলে কিছু গবেষণা মত দেয়।

 চায়ের কিছু পলিফেনল শোষিত না হয়ে বৃহৎ অন্ত্রে চলে যায় যেখানে তারা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ভেঙে যায়। এভাবে চা আমাদের উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলোর জন্য জ্বালানীর উৎস সরবরাহ করে। এতে অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ে। 
নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের বিকাশকে ধীর করতে সাহায্য করে চায়ে থাকা পলিফেনল।

মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে জুড়ি নেই এক কাপ চায়ের। ক্যাফেইনের পাশাপাশি অ্যামিনো অ্যাসিড মেলে এতে, যা আমাদের মস্তিষ্ককে শিথিল করে। 

গ্রিন টিতে থাকা থায়ামিন আমাদের মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে আমাদের মনোযোগ বাড়ে। ব্ল্যাক টি খেলেও কর্মক্ষমতা বাড়ে ও স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। 
গ্রিন টি হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: বিবিসি গুড ফুড 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে