এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সাত বছর ধরে না খেয়ে থাকে কথাটি শুনলেই সবাই অবাক হবেন কিন্তু কথাটি সত্যি। এমনি ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেনে। নিজের বিয়েতে নানা ধরণের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়েছে; কিন্তু কোনটিরই স্বাদ নেওয়া হয়নি নিকোলা নিকোলাসের। সংসারে সকল কাজ নিজ হাতে করে, নিজের পরিবারের জন্য রান্না করে কিন্তু খাওয়া হয় না তার।
সাত বছর ধরে তিনি খেতে পারেন না। না খেতে পারার একটাই কারণ তা হলো নিকলো কিছু খেলেই তার প্রচন্ড বমি এবং পেটে ব্যাথা হয়। তাই যতদিন নিকোলা বেঁচে থাকবেন, ততদিনও স্বাভাবিক খাওয়া হবে না। তার পরও দুটি সুস্থ-সবল সন্তানের মা হয়েছেন ব্রিটেনের বল্টনের বাসিন্দা নিকোলা নিকোলাস।
সাত বছর ধরে সরাসরি মুখে কিছু না খেলেও নিকোলা খাবার গ্রহণ করেন রক্তের মাধ্যমে, শরীরে গ্গ্নুকোজ পুশ করে। কিছু খেলে শুরু হয় বমি আর পেটব্যথা। না খেয়েও প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ বার বমি। ২০০৮ সাল থেকে এমন পাকস্থলির রোগে ভুগছেন তিনি।
চিকিৎসকরা বলছেন, নিকোলা এক ধরনের ফ্লুতে আক্রান্ত। এতে তার পাকস্থলির মাংসপেশি প্যারালাইজড বা অসাড় হয়ে গেছে। তার পাকস্থলি যে কোন খাবার-পানীয় গ্রহণে অপারগ।
২৫ বছরের দুই সন্তানের নিকোলা জানান, সাত বছর আগে একদিন তিনি কিছু খাওয়ার পর প্রচণ্ড পেটব্যথা শুরু হলো। সেই সঙ্গে বমি। দিনে ৫০ বারেরও বেশি বমি করেছেন। মুখে খাবার গ্রহণ করতে না পারায় তার মাথার সব চুল পড়ে গেছে।
চিকিৎসকরা গ্যাস্ট্রিক কিংবা আলসার ভেবে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালেন। শেষে নিশ্চিত হল রোগটি আসলে গ্যাস্ট্রোপ্যারেসিস। তিনি স্বাভাবিকভাবে কিছু খেতে পারেন না। কোন খাবার খেতে হলে তাকে তা সরাসরি রক্তপ্রবাহে পাঠিয়ে দিতে হয়। তাই এখন তার প্রধান খাবার গ্গ্নুকোজ।
অবাক করার বিষয়, এই শরীরেই নিকোলো দুটি সন্তানের মা হয়েছেন। তার সন্তান দুটি একেবারেই সুস্থ-সবল। নিকোলা বলেন, তার এ জীবন দুঃখের আবার মজারও। তিনি বেঁচে আছেন সেটিই তার কাছে অনেক বড়।
সূত্র : মেইল অনলাইন।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/