এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ইংরেজিতে একটি কথা আছে, দ্য পাওয়ার অফ লাভ অর্থাৎ 'ভালোবাসার শক্তি', যদি তা এমন পর্যায়ের হতে পারে যার জন্য মৃত সন্তানের দেহে ফিরে আসতে পারে প্রাণ। তবে সৃস্টিকর্তার অশেষ রহমতে তা সম্ভব। সন্তানকে বাঁচাতে মায়ের যে প্রাণপণ চেষ্টার কোনো কমতি থাকে না তা কারো অজানা নয়।
এর জ্বলন্ত উদাহরণ কেট ওগের ক্ষেত্রে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা এ মায়ের আদরে তার বাচ্চার প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিল। এ খবর দিয়েছে এই সময়।
সালটা ২০১০। দীর্ঘ দিন ধরে কেট এবং ডেভ সন্তানের জন্য হা-পিত্যেস করছিলেন। ওই বছরই তাদের ইচ্ছা পূর্ণ হচ্ছিল। কিন্তু সমস্যাও ছিল একটা। শারীরিক কারণে গর্ভবতী হওয়ার ২৬ সপ্তাহের মধ্যে প্রি-ম্যাচিও’র যমজ বাচ্চার জন্ম দেন কেট।
একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। কিন্তু জন্মের পরই ছেলের শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে অনেক চেষ্টা করেও শরীরে প্রাণের সঞ্চার হয়নি। এক সময় চিকিত্সকরাও হাল ছেড়ে দেন।
তবে কেট হাল ছাড়তে নারাজ ছিলেন। তিনি চিকিত্সকদের অনুরোধ করেন, শেষবারের মতো একবার সন্তানকে একটু আদর করতে চান তিনি। অপারেশন থিয়েটারে সে সময় উপস্থিত ছিলেন ডেভ। কেট সবাইকে ঘরের বাইরে যেতে বলেন। সদ্যোজাত সন্তানকে পরম মমতায় শেষবারের মতো বুকে আগলে ধরেন তিনি।
ডেভও কেটের পাশে শুয়ে জড়িয়ে ধরেন স্ত্রী-পুত্রকে। মিনিটখানেকের মধ্যেই শ্বাস নিতে শুরু করে বাচ্চাটি। হঠাৎই প্রাণের সঞ্চার হয় তার মধ্যে। ডেভ দৌড়ে চিকিত্সকদের ডেকে আনেন।
বেঁচে ওঠে সে। এখন তাদের বয়স প্রায় ৫ বছর। দু’জনের নাম রাখা হয়েছে এমিলি আর জেমি। একটু বড় হওয়ায় সন্তানদের কাছে তাদের জন্মবৃত্তান্ত খুলে বলেন কেট আর ডেভ।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, গত ৫ বছরে এমিলি এবং জেমিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হয়নি। সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনযাপন করছে তারা।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/