এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ছদ্মবেশ ধরতে রঙ বদলাতে পারে গিরগিটিও। নিজ রঙ পাল্টাতে সক্ষম এ ধরনের প্রাণী সহজে চোখে পড়ে না। এটি দেখতে কখনও গাছের মত মনে হয় আবার কখনও প্রজাপতির মত দেখায়।
তবে প্রাণী জগতে শুধু গিরগিটিই রং বদলায় না, অনেক পোকামাকড়, ব্যাঙ, সরীসৃপ, মাছ মায় অক্টোপাসও রঙ বদলাতে পারে। তাদের রঙ বদলানোর পদ্ধতি এবং কারণের রকমফের আছে, কিন্তু বিস্তারিতটা এখনও অজানা।
তবে গিরগিটি শুধু ছদ্মবেশ ধরতেই রং বদলায় না, নিজেদের মধ্যে ভাব আদান-প্রদান করতে, অন্য গিরগিটিকে ভয় দেখাতে এমনকি প্রজননের জন্য পুরুষ সঙ্গীকে ইমপ্রেস করতেও রঙ বদলায়।
সুইস গবেষকরা বলছেন, ত্বকের কিছু কোষের ক্রিস্টালে সজ্জার পরিবর্তন ঘটিয়েই এই রঙ বদলায় গিরগিটিরা। বহুদিন ধরেই মনে করা হত শরীরের মধ্যে রঙিন পিগমেন্ট একত্র করা ও ছড়িয়ে দেওয়ার ফলেই রঙ বদলাতে থাকে সরীসৃপরা।
কিন্তু, নতুন এই গবেষণা বলছে, কিছু বিশেষ ক্রিস্টাল শরীরে থাকার ফলে তৈরি হয় এক বিশেষ আয়না। যাতে আলো প্রতিফলনের ফলে রঙ বদলায় গিরগিটির শরীরের। আবার ঠান্ডাও রাখে গিরগিটির শরীর।
সরীসৃপরা দুইভাবে রঙ বদলায় শরীরের। গাঢ় রঙের জন্য পিগমেন্ট কোষ থাকে সরীসৃপের শরীরে। উজ্জ্বল নীল বা সাদা রঙ আসে এইসব ক্রিস্টাল থেকেই। নীলে ক্রিস্টালের সঙ্গে হলুদ পিগমেন্ট কোষ মিশে তৈরি হতে পারে উজ্জ্বল সবুজ রঙ।
পিগমেন্টের স্থান পরিবর্তনের ফলেও অনেক সময় শরীরের রঙ বদলায়। কখনও শরীরে ছড়িয়ে পড়ে মেলানিন কোষ, কখনও বা এক জায়গায় পুঞ্জীভূত হয়ে থাকতে পারে মেলানিন কোষ।
এই ছড়িয়ে পড়া বা এক জায়গায় জমা হওয়ার ফলেই হালকা থেকে গাঢ় রঙ ধারণ করে শরীর। প্যান্থর ক্যামেলিয়নের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনের কারণে সবুজ থেকে হলুদ হয়ে ওঠা রঙ চোখে পড়ে। বহুরূপী এই প্রাণীটিকে বেশ শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/